এমপি বাহারকে সিটি এলাকা ছাড়তে বলল ইসি

নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগে কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকা ছাড়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-সচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত ওই চিঠি এমপি বাহাউদ্দিনের নিকট পৌঁছে দেওয়া হয়।

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থান করে ‘সভা করে’ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইসি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। রাত সাড়ে ৭টায় সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী। তিনি জানান, চিঠিটি ই-মেইলে তার কার্যালয়ে পৌঁছার পর তা এমপির নিকট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘২০১৬ এর ২২ বিধি মোতাবেক অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচনী এলাকায় প্রচার চালাতে পারবে না। কিন্তু এমপি অত্যন্ত সুকৌশলে সিটি নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। যা সিটি নির্বাচনের আচরণবিধি ২০১৬ এর ২২ বিধি লঙ্ঘন। এছাড়াও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয়ভবে তদন্ত করে বিষয়টির সত্যতা পওয়া গেছে।’

এর আগে গত ৬ জুন কুমিল্লা সদর আসনের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেন সাবেক মেয়র ও টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কু।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছিল, ‘স্থানীয় এমপি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মহানগর আওয়ামী লীগ অফিসসহ বিভিন্ন জায়গায় মহানগরসহ আদর্শ সদর উপজেলার নেতাকর্মীদের একত্র করে এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসার প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের সাথে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বিভিন্ন নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।’

‘এর পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগত নেতাকর্মীদের ডেকে বিশেষ করে সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলার নেতাকর্মীদের নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিয়ে সভা ও আলাপ আলোচনা করে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র নিয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন। ফলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল শোডাউনসহ নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষ ও ভোটারদের মধ্যে ভয়ভীতি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।’

এদিকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া চিঠির বিষয়ে জানার জন্য এমপি বাহাউদ্দিনের মোবাইল ফোনে কল করেও পাওয়া যায়নি।

মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বলেন, আমার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে- এতে আমি নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি শান্তিপূর্ণ ভোটের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন ভোটের রেজাল্ট পর্যন্ত এমন কঠোর অবস্থানে থাকবে।

আগামী ১৫ জুন এ সিটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন এমপি বাহারের অনুসারী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত।