সাত বছর পর নড়াইলের পাচু হত্যার রহস্য উদঘাটন, সজীব আটক

পূর্ব বিরোধের জের ধরে মামুন মোল্লা ওরফে পাচু মোল্লাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মামুন মোল্লা ওরফে পাচু মোল্লা নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার পানিপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মোল্লার ছেলে। গোপালগঞ্জ জেলার চরতালা গ্রামের তরিকুল ইসলাম ওরফে আতিকুর ইসলামের ছেলে সজীব শেখকে (৩২) আটকের পর পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেষ্টিগেশনের সদস্যরা (পিবিআই) মামুন মোল্লা ওরফে পাচু মোল্লা হত্যার রহস্য উদঘাটন করে। মঙ্গলবার (১৪জুন) সকালে ঢাকা বাইপেল শিমুলতলা থেকে পিবিআই সজীবকে আটক করা হয়।

১৫ সালের ১ মে রাতে খুন হয় মামুন মোল্লা ওরফে পাচু মোল্লা। ৭ বছর পর পাচু মোল্লা হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো পিবিআই। মামুন মোল্লা ওরফে পাচু মোল্লা হত্যার পর ভাই মিজানুর রহমান ২৫ জনকে আসামি করে নড়াগাতি থানায় ১৫ সালের ৫ মে ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। নড়াইল জেলা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। এক পর্যায়ে মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম সিআইড পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে সিআইড ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট করে। চার্জশীটের বিরুদ্ধে বাদি না রাজি দেয়ায় অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশে পিবিআই মামলাটির তদন্ত ভার গ্রহন করে পরিদর্শক দেবাশীষ মন্ডলের উপর অর্পন করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক দেবাশীষ মন্ডল জানান, আটক সজীব শেখ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে শরিফ, কাজল ও সালাইসহ অন্যান্যরা গত ১৫ সালের ১ মে রাত অনুমান ৯ টায় মামুন মোল্লা ওরফে পাচু মোল্লাকে পুটিমারি বাজার থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে যায়।

এরপর মামুন মোল্লা ওরফে পাচু মোল্লার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। মামুন মোল্লা ওরফে পাচু মোল্লাকে হত্যার পর মৃতদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে মৃতদেহের পেট ফেড়ে, হাত-পা বেধে তার পরিহিত লুঙ্গীর মধ্যে ইট বেধে সজীব শেখের নৌকায় করে মধুমতি নদীতে ফেলে দেয়। বুধবার নড়াইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জুয়েল রানার আদালতে সোপর্দ করা হলে আটক সজীব ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দি প্রদান করে।