পরবর্তী উত্তরসূরী না আসা পর্যন্ত ছাত্র প্রতিনিধি থাকবে: নুর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের বার্ষিক অধিবেশন বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয়েছে। অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।

নুরুল হক সমকালকে বলেন, এটি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি প্রতারণা। ৭৩ এর অধ্যাদেশে আছে, পরবর্তী উত্তরসূরী না আসা পর্যন্ত সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি থাকবে। এটিকে তারা সংশোধন করতে পারেনি কারণ এটি করলে প্রশাসনের অস্তিত্বে আঘাত আসবে। কিন্তু ডাকসুর গঠনতন্ত্র ঠিকই পরিবর্তন করেছে।

নুরুল হক সমকালকে বলেন, ‘আমি সবসময় বলেছি ডাকসুর ধারাবাহিকতা যেন থাকে। কিন্তু আমাদের ডাকসুর মেয়াদ তো ২০২০ সালে শেষ হয়ে গিয়েছে। আমরা বারবার দাবি জানিয়ে আসছি শিক্ষক-কর্মচারী সবার নির্বাচন হচ্ছে কিন্তু ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে আমি আমার জায়গা থেকে সিনেটে অংশ না নিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি একটি সংহতি হতে পারে।

‘আমি মনে করি এটি নৈতিকতা বিরোধীও। শিক্ষার্থীরা আমাদের ভোট দিয়েছে। আগের ডাকসুর গঠনতন্ত্রে এটি ছিল যে পরবর্তী ডাকসু না আসা পর্যন্ত বিদ্যমান ডাকসু দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু এবার সেটি স্পষ্ট করা হয়েছে, মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ৯০ দিন পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবে। সেটির মেয়াদও শেষ হয়েছে। এরপরও করোনা বিবেচনায় আমি কিছু কাজে অংশ নিয়েছি। তবে গত এক বছর আমি সিনেটের কোনো কাজে অংশগ্রহণ করিনি। আমি মনে করি এটি উচিত না। আমি অংশ না নিয়েও প্রশাসনের ওপর একটি চাপ সৃষ্টি করতে পারি।’ যোগ করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, ছাত্র প্রতিনিধি ছাড়া সিনেট সদস্যদের মেয়াদ তিন বছর। ডাকসুর মেয়াদ এক বছর হলেও পরবর্তী ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র প্রতিনিধিরা সিনেট সভায় অংশগ্রহণ করবেন।

সেই নিয়ম অনুযায়ী ডাকসুর কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও সাবেক ভিপি নুরুল হক, জিএস গোলাম রাব্বানী, এজিএস সাদ্দাম হোসেন, সদস্য তিলোত্তমা শিকদার ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস সিনেট সদস্য পদে বহাল আছেন। সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে তাঁরা দাওয়াতও পেয়েছেন।

এই নিয়মটিকে ‘প্রতারণা’ বলছেন নুরুল হক। তিনি বলেন, ‘এটি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি প্রতারণা। ৭৩ এর অধ্যাদেশে আছে, পরবর্তী উত্তরসূরী না আসা পর্যন্ত সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি থাকবে। এটিকে তারা সংশোধন করতে পারেনি কারণ এটি করলে প্রশাসনের অস্তিত্বে আঘাত আসবে। কিন্তু ডাকসুর গঠনতন্ত্র ঠিকই পরিবর্তন করেছে।’