এটা স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট ক্ষমতা কাঠামো: মান্না

mahmudur rahman manna

বর্তমান সংবিধানের আমূল একটা সংস্কার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘এই সংবিধানে অনেক চমৎকার কথা আছে, কিন্তু ফ্যাসিবাদ তৈরি হওয়ারও অনেক সুযোগ আছে। নিশ্চিত ভাবে এই সংবিধানের একটা পরিবর্তন যদি করতে না পারি, তাহলে যে পরিবর্তন আমরা চাই সেই পরিবর্তন আমরা করতে পারব না।’

আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন আয়োজিত ‘৭০ সালের মতো সংবিধান (সংস্কার) সভার নির্বাচন কেন প্রয়োজন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মান্না বলেন, ডা. কামাল হোসেনকে আমি জিজ্ঞাস করেছিলাম এরকম সংবিধান কেন বানালেন? সব ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে? উনি জবাব দিয়েছিলেন, আমাদের সামনে তখন বঙ্গবন্ধু ছিলেন।

এই সরকার ১৪ সালের পর থেকে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে সকল বিরোধী দলকে এক কাতারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে আলোচনা সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘গোটা নির্বাচন একটা একটা ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। আর কোনো ব্যবসায় এতো বেশি লাভ করা সম্ভব না। আর নির্বাচনকালীন নির্বাচন কমিশন যেখানে একজন এমপিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না সেখানে জাতীয় নির্বাচনের সময় পুরো সরকারকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে?’

আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া একেবারেই বাতুলতা এবং হাস্যকর ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দুইবার একতরফাভাবে ক্ষমতায় এসেছে। এবার আর পুরোপুরি পারছে না। বিদেশিদের চাপ আছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন করা একেবারেই বাতুলতা, হাস্যকর ব্যাপার তা সবাই জানে। এখন এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, সংবিধানে ক্ষমতা কাঠামো বদলানো ছাড়া এই সংকটের আর কোনো সমাধান নেই। এটা স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট ক্ষমতা কাঠামো।’

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘সংবিধান সভার নির্বাচন বিষয়টিকে আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। ৭২ সালের সংবিধানে ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে কেন্দ্রীভূত হয়েছে, বিকেন্দ্রীকরণ হয়নি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা মানে জবাবদিহি, বিকেন্দ্রীকরণ প্রতিষ্ঠা করা। আওয়ামী লীগ, বিএনপি সেটা কখনোই পারবে না।’