যশোরে দুই ছিনতাইকারীকে গণধোলাই

শহরতলী পালবাড়ী তেঁতুলতলা মোড়ে মোটর সাইকেল আরোহী তিন দস্যু বাইসাইকেল আরোহী দু’জনকে গতিরোধ করে নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে পালানোর সময় স্থানীয় জনতা দুই ছিনতাইকারীকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। এরা হচ্ছে, যশোর সদর উপজেলার শেখহাটি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আমিনুর রহমান ও উপশহর বি ব্লক ১৭৬ নং বাসার উজ্জল হোসেনের ছেলে পলাশ হোসেন। এসময় তাদের অপর সহযোগী উপশহর এ ব্লকের কাদেরের ছেলে অনিক পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় সোমবার দস্যুতা আইনে মামলা হয়েছে।

যশোর সদর উপজেলার ছিলুমপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে আলম হোসেন গ্রেফতারকৃত দু’জন ও পলাতক একজন দস্যুর বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, বাদি মেট্টো কুরিয়ার এন্ড পার্সেল সার্ভিসের নিউ মার্কেট শাখায় চাকুরী করেন। প্রতিদিনের ন্যায় রোববার ১৯ জুন বাইসাইকেল যোগে বাদি ও সদর উপজেলার ভেকুটিয়া গ্রামের সামাদের ছেলে তৌহিদ রাত ১১ টার পর বাড়ি যাচ্ছিলেন। শহরতলী পালবাড়ী তেঁতুলতলা মোড়ে রাস্তার উপর পৌছানো মাত্র এ্যাপাচী আরটিআর মোটর সাইকেল যোগে তিন ছিনতাইকারী বাইসাইকেলের গতিরোধ করে।

গতিরোধ করে বাদি ও তার সাথে থাকা এলাকার ছোট ভাইকে যা কিছু আছে দিয়ে দিতে বলে। বাদি তাদের গতিরোধ করার কারণ জিজ্ঞাসা করলে দস্যুরা খুন জখমের হুমকী প্রদান করে এলোপাতাড়ী কিল ঘুষি মারতে থাকে। বাদির কাছে অপ্পো মোবাইল ফোন পকেটে থাকা নগদ ৩২৫০ টাকা ও তার সাথে থাকা তৌহিদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। বাদি ও তার সাথে থাকা তৌহিদ দস্যুদের সাথে ধস্তাধস্তি করলে দস্যুদের মধ্যে পলাশ বাদিকে কিল ঘুষি মারতে থাকে। বাদির চিৎকার করলে খুন জখমের বলে হুমকী প্রদান করে।

আশ পাশের পথচারীসহ স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে দস্যু আমিনুর রহমান ও পলাশকে ধরে ফেলে। তাদের সহযোগী অনিক বাদির কাছে থাকা নগদ ৩২৫০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দুস্যদের হেফাজতে নেয়। আসামীদের হেফাজত থেকে দু’টি মোবাইল ফোন উদ্ধার ও দস্যুতার কাজে ব্যবহৃত মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়। সোমবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।