নারীর কাছে জুতা পেটার শিকার হলেন যশোরের ফল সমিতির নেতা

jessore map

এবার এক নারীর জুতা পেটার শিকার হলেন যশোর ফল ব্যবসায়ী সমিতির প্রচার সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মফিজ। ওই নারী সম্পর্কে কুটুক্তি ও অশালীন মন্তব্য করায় তিনি জুতা পেটার শিকার হন। এর আগেও যশোর রেল স্টেশন এলাকার ছুইপার কলোনীতে মদ পান করে মাতলামি করার সময় তাকে আটক করে রাখে ওই কলোনীর বাসিন্দরা। পরে সমিতির সভাপতি মুচলেকার মাধ্যমে তাকে ছাড়িয়ে আনেন। এতে করে ফল ব্যবসায়ী সমিতির সুনাম ক্ষুন্নু হচ্ছে বলে অভিযোগ। এ কারণে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছে সাধারণ সদস্যরা।

সমিতির সদস্যরা জানায়, কয়েক মাস আগে যশোর ফল ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনে মাহফুজুর রহমান মফিজ প্রচার সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে তিনি তার বড় ভাই হাবিবুর রহমান হবির জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে জয়লাভ করেন। এই নির্বাচনে জয়লাভের পর নানা রকম অপকর্মে লিপ্ত হন মাহফুজুর রহমান মফিজ। সমিতির নাম ব্যবহার করে তিনি একের পর এক অপকর্ম শুরু করেন। তার আড়তে দেশি অস্ত্র এনে জড়ো করতে শুরু করেন। কেউ কোন কথা বললে তাকে এসব অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।

আর এভাবে অপকর্ম করতে করতে ধরাকে সরা জ্ঞান করে চলেছেন। কয়েকদিন ধরে এক নারী সম্পর্কে কুটুক্তি ও অশালীন মন্তব্য করেন কয়েক জায়গায়। সোমবার দুপুরে ওই নারী যশোর ফলপট্টিতে হাজির হন কয়েকজন নারীসহ। ওই নারী এসে জানতে চান তার সম্পর্কে এসব কথা কেন বলেছেন ? বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ওই নারী তার পায়ে থাকা জুতা খুলে মফিজকে পেটাতে থাকেন।

এসময় আশেপাশের আড়তদার এসে তাকে নিবৃত করে। পরে ওই নারী ফলপট্টি ছেড়ে চলে যান। শুধু তাই নয়, কয়েক দিন আগে যশোর রেলস্টেশন এলাকায় ছুইপার কলোনীতে মদ পান করেন মফিজ। মদ পান করে সেখানে মদ্যপ অবস্থায় মাতলামি করতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে কলোনীর বাসিন্দরা তাকে ধরে দড়ি দিয়ে বেধে রেখে যশোর ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এস এম সাইফুল ইসলাম লিটনকে খবর দেয়। পরে সেখানে সাইফুল ইসলাম লিটন উপস্থিত হয়ে মফিজকে মুচলেকার মাধ্যমে ছাড়িয়ে আনেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফল ব্যবসায়ী সমিতির প্রচার সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মফিজ মুঠো ফোনে (০১৭২৮৩৩৮২৬০) বলেন, এসব সব মিথ্যা কথা। আমার মামা এসেছে, আমি পরে কথা বলবো।

প্রচার সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মফিজের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ ইকবাল হোসেন চুন্নু মুঠো ফোনে (০১৭১১২৮৩৮২১) বলেন, আমি এ সম্পর্কে কিছু জানি না। আমি কিছুই বলতে পারবো না।

একই বিষয়ে জানার জন্য সভাপতি এস এম সাইফুল ইসলাম লিটনের কাছে মোবাইল ফোনে (০১৭১১৬৬৭৯৬২) জিজ্ঞাসা করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বলেন, আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। ওই মহিলা জুতা দিয়ে মফিজকে মারতে চেয়েছিল।