রেলভবনে অভিযান: চুক্তি বহির্ভূত তথ্য পেয়েছে দুদক

dudok-logo

বাংলাদেশ রেলওয়ে বহরে যুক্ত হওয়া ১০টি মিটার গেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) ক্রয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে রেল ভবন, ঢাকাতে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার ও উপসহকারী পরিচালক মোঃ কামিয়াব আফতাহি-উন-নবী এর সমন্বয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম এই অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানকালে টিম সচিব এবং মহাপরিচালক মহোদয়সহ প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিকট থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে।

রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় ইঞ্জিনগুলোতে তিনটি ক্যাপিটাল কম্পোনেন্টের ভিন্নতা আছে, যা চুক্তি বহির্ভূত। চুক্তিতে ৩০০০ হর্সপাওয়ারের ইঞ্জিন দেওয়ার কথা থাকলেও ২০০০ হর্সপাওয়ারের ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে, টিএ-১২ মডেলের অল্টারনেটরের পরিবর্তে টিএ-৯ মডেল সংযোগ করা হয়েছে, এছাড়া ২৯০৯-৯ মডেল এর পরিবর্তে ২৯০৯ মডেল দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রেলের লোকোমোটিভ ইঞ্জিন ক্রয়ের নিমিত্তে ২০১৫ সালে ‘‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য লোকোমোটিভ রিলিফ ক্রেন এবং লোকোমোটিভ সিমুলেটর সংগ্রহ’’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। উক্ত প্রকল্পের মেয়াদ দুইদফায় বৃদ্ধি করে জুন ২০২২ সাল পর্যন্ত করা হয়।

রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।