যশোরে তিন ফসলী জমি রক্ষার দাবিতে চার গ্রামের মানুষের মানববন্ধন

 

যশোর শহরতলীর বিল হরিনার রামনগর ইউনিয়নের অংশে প্রস্তাবিত বিসিক-২ এর জমি অধিগ্রহন প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে একাট্রা হয়েছেন কয়েটটি গ্রামের বাসিন্দারা। শুক্রবার যশোর মণিরামপুর ভায়া সাতক্ষীরা মহাসড়কের হাতিপুতা কানাইতলা নামক স্থানে কাজিপুর, কাজিপুর,রামনগর,ভাটপাড়া,তোলা গোলদারপাড়া গ্রামের শত শত নারী পুরুষ প্রচন্ড খর তাপকে উপেক্ষা করে মানববন্ধনে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। ঘন্টাব্যাপী চলা এই মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,কোন ফসলী জমিতে শিল্প স্থাপন নয়। আর সেটি করা হলে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে না। সেখানে বিল হরিনার রামনগর অংশের তিন ফসলী জমিতে বিসিক-২ স্থাপনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর জন্য প্রস্তাবিত ১ হাজার ৬০০ বিঘা জমি অধিগ্রহন করা হলে প্রায় দুই হাজার মানুষ ভূমিহীন ও কর্মহীন হয়ে পড়বে। এই বিলের তিন শতাধিক বর্গ চাষী রয়েছে, তাদের জীবন জীবিকা থমকে যাবে। অধিগ্রহনের বাইরে থাকা আবাদী জমিসহ চারপাশের গ্রামে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। এছাড়া বিল হরিনায় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা জেলে সম্প্রদায় কর্মহীন হয়ে পড়বে। বিল হরিনায় শিল্প নগরী গড়ে উঠলে বিলসহ এর মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া মুক্তেশ্বরী নদীর পানি দূষিতসহ প্রকট আকারে বায়ূ দূষণ ঘটবে। শহরের বড় একটি অংশের পানি বিল হরিনায় নিস্কাশত হয়। যা শিল্প নগরী গড়ে উঠলে পানি নিস্কাশন বাধা গ্রস্থ হবে এবং প্রকট আকারে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। তাছাড়া সার্বিক বিবেচনায় রামনগর ইউনিয়নের বিল হরিনার এই অংশে বিসিক-২ স্থাপন জনকল্যাণের পরিবর্তে হাজার হাজার মানুষ ভূমিহীন ও কর্মহীন হয়ে পড়বে। এমতাবস্থায় বক্তারা এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণার হুশিয়ারি দেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, রামনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড.আফজাল হোসেন, জেলা জাসদ নেতা অ্যাড. আবুল কায়েস,প্রফেসর মুসাহাত আলী, স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আজিজ, তোরাপ আলী, আসাদুজ্জামান, শফিয়ার রহমান, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল জলিল মোড়ল প্রমূখ।