ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত ঝিনাইদহের গরু খামারীরা

 

ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন ঝিনাইদহের গরু খামারীরা। সম্পুর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজকরণ আর বাজারজাতকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। স্বপ্নের পদ্মাসেতু হওয়ায় সহজেই ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গরু পাঠাতে পারলে একটু বেশি লাভ হবে বলে আশা তাদের। তবে ভাবাচ্ছে দেশের বন্যা পরিস্থিতি আর দেশের বাইরে থেকে গরুর আনার বিষয়টি।

জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় কোরবানির জন্য ৮৬ হাজার গরু ও ১ লাখ ৯ হাজার ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে। গরু-ছাগল লালন-পালন করতে শেষ সময়ে তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের খামারী এমদাদুল হক জানান, কোরবানির বাজার ধরতে প্রায় ৩০ মণ ওজনের ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি লালন পালন করেছেন তিনি। সাড়ে ৩ বছর বয়সী গরুটির দাম হাঁকা হচ্ছে ১৪ লাখ টাকা। ঈদ আসন্ন তাই একটু বেশিই যতœÑআত্তি চলছে তার। প্রতিদিন দেড় থেকে দুই হাজার টাকার খাবার খাওয়াতে হচ্ছে। যেহেতু ঈদের আর বেশি সময় নেই তাই বেশি বেশি খাবার খাওয়াচ্ছেন তারা।

নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের খামারী পারভেজ মাসুদ লিল্টন বলেন, আমি এ বছর কোরবানির জন্য ৩০ টি গরু বড় করেছি। আমার খামারে ৩ থেকে ১০ লাখ টাকার গরু আছে। করোনার কারণে আমরা গত ২ বছর ভালো দাম পায়নি। এবার আশা করেছিলাম ভালো দাম পাব। কিন্তু দেশের বন্যা পরিস্থিতির কারণে ভালো দাম পাব কি না তা নিয়ে চিন্তাই রয়েছি।

হাটগোপালপুর গ্রামের খামারী ডা: মিল্টন বলেন, এবার গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালন করতে খরচ বেড়েছে। তাই একটু ভালো দামের আশা করছি আমরা। কিন্তু ভারত থেকে যদি গরু আসে তাহলে আমরা তো ন্যায্য মুল্য পাব না।
একই গ্রামের খামারী মশিউর রহমান বলেন, যেহেতু পদ্মাসেতু চালু হয়েছে। এজন্য আমরা ঢাকা, চট্টগ্রাম সহজেই গরু পাঠাতে পারব। দ্রুত বাজার ধরতে পারলে ভালো দাম পাব বলে আশা করছি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মনোজিৎ কুমার সরকার বলেন, আমরা জেলার খামারীদের নিয়মিত উঠান বৈঠক ও খামারে গিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছি। তারা যেন স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরু লালন-পালন করে সে ব্যাপারে আমরা নজরদারি করছি। একই সাথে পশু মোটাতাজাকরণে ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার বন্ধে খামারগুলোতে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।