নড়াইলে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত : পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ প্রত্যাহার

police logo

নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিতসহ সহিংসতায় মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মুরসালিনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। সোমবার (৪ জুলাই) দুপুরে তাকে প্রত্যাহার করা হয়। এসআই মুরসালিন মির্জাপুর কলেজে সৃষ্ট ঘটনার বাদীও। গত ২৭ জুন বাদী হয়ে ১৭০ জনের নামে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।

এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদুর রহমান জানান, রোববার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে যশোরের মনিহার এলাকা থেকে এ মামলার আসামি নূরন্নবীকে (৪৫) গ্রেফতার করে পুলিশ। এ পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হলো। গ্রেফতারকৃত নূরন্নবী নড়াইল সদরের গোবরা এলাকার ফয়েজ চৌকিদারের ছেলে এবং ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান।

পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় নিজের ফেসবুক আইডিতে ভারতের বির্তকিত রাজনৈতিক নেত্রী নূপুর শর্মার ছবি ব্যবহার করে লেখে-প্রণাম নিও বস ‘নূপুর শর্মা’ জয় শ্রীরাম। এ পোস্ট দেয়ার পর গত ১৮ জুন সকালে কলেজে আসে রাহুল। এরপর তার বন্ধুরা পোস্টটি মুছে ফেলতে বললেও সে পোস্ট মুছেনি রাহুল।

শিক্ষার্থীরা বিষয়টি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জানান। অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ এনে বিক্ষুদ্ধ জনতা ঘটনার দিন ১৮ জুন বিকেলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস এবং শিক্ষার্থী রাহুল দেব রায়কে গলায় জুতারমালা পরিয়ে প্রতিবাদ জানান। কলেজ চত্বরে থাকা শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জসহ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ছোঁড়ে। ঘটনার সময় অন্তত ১০ জন ছাত্র-জনতা আহত হন।