বিএনপির আন্দোলনের ডাক আষাঢ়ে গর্জনের মতো: কাদের

obidul kader
ফাইল ছবি

দেশের মানুষ জানে বিএনপির আন্দোলনের ডাক আষাঢ়ে গর্জনের মতো। তাদের আন্দোলনের হুমকিতে আওয়ামী লীগের কোনো মাথাব্যথা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত বন্যাকবলিত অসহায় ও দুস্থ মানুষের মধ্যে ঈদুল আজহা উপলক্ষে নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব বাংলাদেশে পড়তে পারে। সারা বিশ্বে এ যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে।

এদিকে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, করোনা বাড়ছে। ঈদের পর আরও বাড়তে পারে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

এদিকে বিএনপির আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আন্দোলন, দেশের মানুষ জানে বিএনপির আন্দোলনের ডাক আষাঢ়ে গর্জনের মতো। তাদের আন্দোলনের হুমকিতে আওয়ামী লীগের কোনো মাথাব্যথা নেই। আন্দোলন, কীসের আন্দোলন, কবে হয়েছিল আন্দোলন? শুনেছিলাম বহুবার, ডাক দিয়েছিল ঈদের পর, ডাক দিয়েছিল পরীক্ষার পর। এখন আবার ডাক দিচ্ছে বন্যার পর। দেখতে দেখতে ১৩ বছর। আন্দোলন হবে কোন বছর?’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ও তার সহকর্মীরা শেখ হাসিনাকে আক্রমণ করে যে ভাষা প্রয়োগ করেন— সেটি কোনো ভদ্রলোকের ভাষা নয়। তারা রাস্তার ভাষায় কথা বলেন। আওয়ামী লীগ রাজনীতির ভাষায় কথা বলে। এটি হলো বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের পার্থক্য।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস হচ্ছে, যে কোনো বিপদ-আপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। দেশের যেকোনো দুর্যোগে সবার আগে মানুষের পাশে দাঁড়াতে ছুটে যায় আওয়ামী লীগ। ঝড়বৃষ্টির মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যাকবলিত সিলেট অঞ্চলে গিয়েছিলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের কিছু বলতে চাই না। আমরা জবাব দেব কাজ দিয়ে। বন্যায় সরকার ৯ হাজার টন চাল, দেড় লাখ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ১১ কোটি টাকা ত্রাণ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকেও এক কোটি টাকার অধিক টাকা দেয়া হয়েছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জের স্থানীয় আওয়ামী লীগও যথেষ্ট অর্থ সহয়তা দিয়েছে।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এবং উপকমিটির সদস্য সচিব সুজিত রায় নন্দীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু প্রমুখ। পরে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট, সুনামগঞ্জের সদর, ছাতক ও দোয়ারাবাজার, নেত্রকোণার দুর্গাপুর, কমলাকান্দা ও খালিয়াজুরী এবং কুড়িগ্রামের রাজিবপুর ও চিলমারী উপজেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে নগদ অর্থ (চেক) তুলে দেওয়া হয়।