নিষেধাজ্ঞা মানছে না মোটরসাইকেল-থ্রি হুইলার চালকেরা

 

যৌক্তিক কারণ ছাড়া ঈদের আগে-পরে ৭ দিন এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। এ ছাড়া মহাসড়কে বন্ধ থাকবে রাইড শেয়ারিং। এমন নির্দেশনা দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। কিন্তু এই নির্দেশনা মানছে না মোটরসাইকেল চালক ও রাইড শেয়ারিংরা। মহাসড়কে কোন রকম আইনি ঝামেলা ছাড়াই তারা চলাচল করছেন নির্বিঘ্নে।

অন্যদিকে অনেক আগে থেকেই উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে মহাসড়কে অবৈধ থ্রি-হুইলার চলাচলের উপর। সেটিও মানছে না কেউ। এদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন আইনি পদক্ষেপও গ্রহণ করছেন না হাইওয়ে পুলিশ। কয়েকটি মামলা দিয়েই তারা বলছেন- অবৈধ থ্রি-হুইলার মহাসড়কে যাতে চলাচল না করতে পারে সে ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্সে। কিন্তু সেই জিরো টলারেন্সের বাস্তবায়ন দেখা যায়নি মহাসড়কে।

শুক্রবার (৮ জুলাই) সকালে সরেজমিন ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রাজবাড়ীর অংশে এমনই চিত্র চোখে পড়েছে। কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই এই মহাসড়কটি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা।

 

পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ফেরি ও লঞ্চের যাত্রীদের দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালের সামনের মহাসড়ক থেকে তুলে নিয়ে তারা ছুঁটছেন বিভিন্ন জেলায়। এ সকল অবৈধ থ্রি-হুইলারে কারণে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) ভোরে রাজবাড়ী বড়পুল মোড় এলাকার বাস মালিক সমিতির সামনে একটি মাহেন্দ্রা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে দুইজন নিহত হন। এ ঘটনায় আরও এক যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমান তিনি ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কিভাবে মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চালাচ্ছেন এমন প্রশ্ন করলে কোন চালকই কথা বলতে রাজি হননি।

সরেজমিন দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মহাসড়কে দেখা যায়, সরকারি নিষেধ অমান্য করে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে ফিরছেন সপরিবারে মোটরসাইকেল চালকেরা। প্রতিটি মোটরসাইকেলেই রয়েছে একজন করে আরোহী। আবার অনেক মোটরসাইকেলে রয়েছেন নারী ও শিশু। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই গ্রামে ফিরছেন তারা।

 

একাধিক মোটরসাইকেল চালক কে বলেন, সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছেন সেটা আমাদের মেনে চলা উচিত। কিন্তু কি করবো বলেন। গ্রামে তো ফিরতেই হবে। এ সময় তারা স্বীকার করেন মহাসড়কে বাইক চালানো অনেক ঝুঁকি থাকে।

আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, মহাসড়কে অবৈধ থ্রি-হুইলার চলার কোন সুযোগ নেই। এ বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্সে রয়েছি। বৃহস্পতিবারও বেশ কিছু মাহেন্দ্রার বিরুদ্ধে মামলা করেছি। মাহেন্দ্রার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তাহলে আজ কিভাবে চলছে এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, চলার তো কথা না। আজও দুইটি টিম কাজ করছে। বিষয়টি আমি দেখছি এখনই।