দায়িত্বটা যেন আল্লাহর দিকে তাকিয়ে পালন করতে পারি: সিইসি

 

নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট আয়োজন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা চাওয়ার পাশাপাশি দোয়া চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের ষষ্ঠ দিন রোববার সিইসি এসব কথা বলেন।

 

আজ সকালে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন এবং দুপুরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে বৈঠকে বসে ইসি। সিইসি বলেছেন, ‘আমাদের সহকর্মীরাও বলেছেন, “আল্লাহ পাকের রহমত ও দয়া যদি না থাকে তাহলে আমাদের জন্য বিষয়টি কঠিন হবে।” কাজেই আমাদের জন্য আপনারা অবশ্যই দোয়া করবেন, আমরা যেন দায়িত্বটা আল্লাহর দিকে তাকিয়ে পালন করতে পারি।’

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সঙ্গে সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচন একটি জটিল কর্মযজ্ঞ। সবার আন্তরিক সমবেত প্রয়াস থাকলে এমন কঠিন ও জটিল কর্মযজ্ঞ সাধন অসাধ্য নয়।’

সিইসি আরও বলেন, ‘কেউ বলছে “নির্বাচনকালীন সরকার, কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকার”, যদিও বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে সরকার থাকবে। নির্বাচনের সময় যে সরকার থাকবে, সেই সরকার আমাদের সহায়তা করবে। সেটি সরকারের সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ দায়িত্ব হবে।’

মাওলানা হাফেজ আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন সংলাপে অংশ নেয়। চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব এবং অতিরিক্ত সচিব সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।

রোববার দুপুরে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়। দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার লিখিত বক্তব্যে বলেন, জাসদ মনে করে, কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ বা বর্জনের বিষয়টি একান্তই সেই রাজনৈতিক দলের নিজস্ব রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়।

 

জাসদ বলছে, ‘কতিপয় বিদেশি কূটনৈতিক ইসির কাজে কূটনৈতিক শিষ্টাচার পরিপন্থি ও অযাচিতভাবে নাক গলিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের উচিৎ এ ধরনের কূটনৈতিক শিষ্টাচার পরিপন্থি অযাচিত নাক গলানোকে প্রশ্রয় না দেওয়া।’

 

সিইসি বলেন, ‘আমরা সবাইকে আহ্বান করব আপনারা আসেন। সবার বক্তব্য, নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক হয়। শাসক দলকে বলতে শুনেছি- আমরা ওদেরকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাচ্ছি। আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি- আমরা কাউকে বাধ্য করতে পারব না, সেটা আমাদের দায়িত্বও নয়। আমাদের দায়িত্ব সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচনের জন্য সবাইকে আহ্বান করা।’