‘আওয়ামী লীগের অধীনে বিএনপি আর কোনো নির্বাচনে যাবে না’

bnp logo

 

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রকিবুল ইসলাম বকুল বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। নির্বাচন হতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের যে কোনো অপচেষ্টা জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিহত করবে বিএনপি। সেটা জাতীয় সংসদ নির্বাচনই হোক বা স্থানীয় সরকারের।

খুলনার কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে মহানগর বিএনপির যৌথসভা শেষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

খুলনা সিটি কর্পোরেশন ঘোষিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটকে সরকারি অনুদান নির্ভর ও উচ্চাভিলাষী অভিহিত করে তা প্রত্যাখ্যান করে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, নগরীর রাস্তাঘাটের বেহাল দশা।

 

নিম্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা ও জনদুর্ভোগের বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, ব্যর্থ, অযোগ্য ও বিনা ভোটের মেয়র ৮৬১ কোটি টাকার বিশাল এ বাজেট ঘোষণা করে মূলত জনগণের সাথে তামাশা করেছেন। ঘোষিত বাজেটে মাত্র ১৯২ কোটি টাকা রাজস্ব খাত থেকে বরাদ্দ। বাকি সম্পূর্ণ টাকা সরকারি অনুদান নির্ভর। যার অর্থ, কোনো কারণে সরকার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে কেসিসির এই বাজেট অকার্যকর। তা কেবল ঘোষণাই থাকবে। উন্নয়নের কোনো কাজে আসবে না।

 

মনা আরও বলেন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে বর্তমান সরকার বেহাল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার খুলনা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস উপস্থিত থাকবেন।

 

এ সময় বিএনপি নেতা মনা অভিযোগ করেন, বিএনপি প্রতিটি কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে চায়। কিন্তু এর আগে খুলনার পুলিশ প্রশাসন বিনা উস্কানিতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছেন বিএনপি নেতা বাবুল কাজী। পুলিশের লাঠির আঘাতে মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলম গুরুতর আহত হয়ে এক চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। কিন্তু এরকম নির্যাতন বিএনপির নেতাকর্মীরা আর সহ্য করবে না। সময় আসলে এর সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। জনগণকে সাথে নিয়ে এই সরকারের প্রতিটি অপকর্মের জবাব রাজপথে দেওয়া হবে।

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি মুজিবর রহমান, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হোসেন বাবু, মহানগর ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়কদের মধ্যে খান জুলফিকার আলী জুলু, স ম আব্দুর রহমান, সৈয়দা রেহানা ঈসা, অ্যাডভোকেট নুরুল হাসান রুবা, এস এ রহমান বাবুল, আব্দুর রবিক মল্লিক, মোস্তফা উল বারী লাভলু, কাজী মাহমুদ আলী, আজিজুল হাসান দুলু, শের আলম সান্টু-সহ মহানগর ও জেলা বিএনপির সদস্যবৃন্দ এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা।