যশোরে বাইক কিনে না দেওয়ায় স্ত্রী ও শ্বশুরকে মারপিট, পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

mamla rai

চারলাখ ৭০ হাজার টাকা দামের আর ওয়ান ৫ মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় স্ত্রীকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন এক স্বামী। শ্বশুড় এ বিষয়ে জানতে আসলে তাকেও মারপিট করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এসব অভিযোগ এনে পুলিশ সদস্য স্বামীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দম ট্রাইব্যুনাল-২ এর আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগি স্ত্রী।

বিচারক নিলুফার শিরীন অভিযোগ আমলে নিয়ে মণিরামপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। আসামিরা হলেন, স্বামী মণিরামপুর উপজেলার জয়পুর গ্রামের তহরম আলীর ছেলে পুলিশ কন্সটেবল টিটো হোসেন, টিটোর মা গোলজান বেগম, ভাই হারুন অর রশিদ ও একই এলাকার গনি বিশ্বাসের ছেলে রুহুল আমিন। বাদী নিজের নাম গোপন রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে, তিনি নিজেও মণিরামপুর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি আরও জানিয়েছেন টিটো বর্তমানে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনে কর্মরত রয়েছেন।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, ২০১৩ সালে তাদের বিয়ে হয়। তাদের চারবছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের সময় বাদীর বাবা টিটোকে নগদ একলাখ ২০ হাজার টাকা, পালংক, সোকেচ, আলনা, ড্রেসিং টেবিল, সোনার গহনা ও একটি পালসার মোটরসাইকেল দেন। তারপরও যৌতুকলোভী টিটো টাকার জন্য নানাভাবে অত্যাচার চালাতে থাকে। একপর্যায় বাইনা তোলে তাকে চার লাখ ৭০ হাজার টাকা দামের আর ওয়ান ৫ মোটরসাইকেল কিনে দিতে হবে। মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় গত বছরের ১০ অক্টোবর শারীরিক ও মানুসিক নির্যাতন করে বাদীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে সে পিতার বাড়িতে আশ্রয় নেন। এরপর বাদীর পিতা আসামিদের খবর দেয়।

চলতি বছরের ১০ জুন আসামিরা বাড়িতে আসে এবং এসে মোটরসাইকেল কিনে না দিলে স্ত্রী ঘরে তুলবে না বলে জানায়। একই সাথে ২২ জুলাই ওই টাকা নিয়ে আসামিদের বাড়িতে আসতে বলে আসামিরা চলে যায়। এক পর্যায় গত ২২ জুলাই বাদী ও তার পিতা আসামির বাড়িতে যায়। টাকা নিয়ে না যাওয়ায় আসামিরা প্রথমে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে মারপিট করে জখম করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। বাদীও তার বাবা মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। শেষমেষ সুস্থ্য হয়ে আদালতে মামলা করেন বাদী।