যশোরে ভুয়া কাবিননামা কলেজ ছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক আদালতে মামলা

lifestyle

যশোরে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাবিননামা তৈরী করে এক কলেজ ছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগে নিজাম সরদার নামে এক ওষুধ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল ওই ছাত্রী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: মঞ্জুরুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত নিজাম সরদার যশোর শহরতলীর রাজারহাট বাজারের বিসমিল্লাহ ফার্মেসীর সত্বাধিকারী এবং রামনগর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার আব্দুল আজিজ সরদারের ছেলে।

বাদী মামলায় বলেছেন, তিনি যশোর সরকারি সিটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে প্রথম বর্ষে লেখাপড়া করেন। আসামি নিজাম সরদার তার প্রতিবেশি। কিন্তু বাদী কলেজে যাওয়া-আসার পথে আসামি তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। রাজি না হলে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়। এক পর্যায় দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২১ জুলাই সকাল ১০টার দিকে বাদী কলেজে যাওয়ার সময় নিজাম সরদারও তার সাথে শহরে যায়। এসময় ওই ছাত্রীকে বিয়ে করবে বলে একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে একজন মৌলভীর উপস্থিতিতে নীল কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এরপর নিজাম সরদার তাকে বলেছে আমাদের বিয়ের বিষয়টি আপাতত গোপন রাখতে হবে। কিছুদিন পরে আনুষ্ঠানিকভাবে বাদীকে বাড়িতে নিয়ে যাবে নিজাম সরদার। নিজাম সরদার ওইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাদীর বাড়িতে যায়। সেখানে রাত্রী যাপন করে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে শারীরিক সম্পর্ক করে। এভাবে ২৪ জুলাই পর্যন্ত প্রতি রাতে নিজাম সরদার সেখানে রাত যাপন করে।

২৫ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে বাদীকে নিয়ে খুলনার আবাসিক হোটেল সানডের ৫ম তলার ৫০ নম্বর কক্ষে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে রাত যাপন করে। ২৬ জুলাই সকালে বাদীকে নিয়ে সাতক্ষীরা যায়। সাতক্ষীরা বাস স্ট্যান্ডে বাদীকে রেখে নিজাম সরদার অল্প সময়ের জন্য কাজ আছে বলে সেখানে দাড়িয়ে রেখে চলে যায়। এরপর আর সেখানে ফিরে না আসায় নিজামকে মোবাইল করলে বলে তুমি বাড়িতে চলে যাও। বাদী বাড়িতে এসে স্থানীয় গন্যমান্য লোকজনদের জানিয়ে ২৮ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে স্ত্রী হিসেবে বাড়িতে তুলে নেয়ার জন্য বলা হলে নিজাম সরদার অস্বীকার করে। নিজাম সরদার বলেছে বাদীকে তিনি কখনোই বিয়ে করেনি। মৌলভী দিয়ে বিয়ে পড়ানো এবং নীল কাগজে স্বাক্ষর করানোর কথা বলঅ হলে নিজাম সরদার বলছে ওটা ছিল জালিয়াতি। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এই মামলা করেছেন।