জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে যশোরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

অস্বাভাবিক হারে ডিজেল পেট্রোলসহ অন্যান্য জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে যশোরে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, সরকারের সীমাহীন লুটপাট এবং জ্বালানী খাতের চরম অবব্যস্থাপনার কারণে তারা নতুন করে সকল প্রকার জ্বালানী তেলের মূল্য বৃৃদ্ধি করে জনগণকে সীমাহীন কষ্টের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। আজকে সরকারের এই জনবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কেবল যশোর নয় সমগ্র দেশের জনগণ ফুঁসলে উঠেছে। যেই মুহুর্তে বিশ্ব বাজারে তেলে মূল্য হ্রাস পেয়েছে,ঠিক সেই মুহুর্তে তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারন কি? এই টাকা কি বিদেশে পাচার হবে,নাকি আপনার সোনার ছেলেদের সংসার চালানোর কাজে ব্যয় করা হবে সেটি জনগণ জানতে চায়। অস্বাভাবিক হারে জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গতকাল শনিবার জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে শহরের এম এম আলী রোড থেকে একটি বিশাল মিছিল বের হয়। হাজার হাজার নেতা কর্মী মিছিল অংশ নিয়ে সরকারের জনবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এমএম আলী রোড থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি চিত্রা মোড় হয়ে,জেস টাওয়ারের সামনে দিয়ে চৌরাস্তা থানার মোড় হয়ে জেল রোড হয়ে লাল দিঘিপাড়স্থ জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এসময় অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরও বলেন, নতুন করে যে জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে সেটি বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বে নজির বিহীন। আজকে সমগ্র দেশ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিলেন, তারা নাকি দেশে পেট্রোল অকটেন উৎপাদন করনে । অনেক সময় সেটি বিদেশে রপ্তানী করেন । তাহলে কেন লিটার প্রতি প্রেট্রোলের মূল্য ৪৪ আর অকটেনের দাম ৪৬ করে বাড়ানো হলো। আজকে জ্বালানী খাতের সীমাহীন লুটপাট ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ভোলায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ দিয়ে গুলি করে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিমকে হত্যা করা হলো। স্বৈরাচার এরশাদের পর কোন সরকার রাজনৈতিক কর্মসূচিতে প্রকাশ্যে গুলিয়ে চালিয়ে হত্যা না করলে, বর্তমান ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার সেই কাজটি করেছেন। তিনি বলেন হুইসেল বেজে গেছে, জনতার আন্দোলনে আওয়ামী পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। এর আগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, জেলা নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লক চাঁদ, যুগ্ম-সম্পাদক জহির আলম,সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক,সাংঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন বাবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল,সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হায়দার রানা ,যুগ্ম-সম্পাদক রেজোয়ানুল ইসলাম খান রিয়েল, নগর যুবদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম ,জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি প্রমুখ।