শিশুদের পরীক্ষামূলক করোনা টিকা প্রয়োগ শুরু

 

দেশের ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের পরীক্ষামূলক করোনা টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শিশুদের টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

 

প্রথম দিন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আবুল বাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়। এদিন প্রথম টিকা নেন ওই বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নিধি নন্দিনী কুণ্ড। এখন টিকা নেওয়া শিক্ষার্থীদের পর্যবেক্ষণ করা হবে। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না গেলে আগামী ২৬ আগস্ট সারাদেশে শিশুদের টিকাদান শুরু হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাহিদ মালেক বলেন, টিকা কার্যক্রম পরিচালনায় আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম হয়েছি। সারাবিশ্ব আমাদের প্রশংসা করছে। অনেক দেশ এখনও ১০/১৫ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে পারেনি। কিন্তু বাংলাদেশ টিকা দিয়ে মানুষকে সুরক্ষায় নিয়ে এসেছে। মৃত্যুও শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, আমরা একদিনে এক কোটি বিশ লাখ টিকা দিয়েছি। টিকায় আমাদের সক্ষমতা আছে। বিশ্ববাসী জানে আমরা টিকা দিতে পারি।

 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি রাজেন্দ্র বোহরা, ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, সারাদেশে ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে করোনার টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের সুরক্ষায় কোভ্যাক্সের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে শিশুদের জন্য তৈরি ফাইজারের ৩০ লাখ ডোজ কভিড-১৯ টিকা অনুদান দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।