সার ও জ্বালানী তেলের বর্ধিত মূল্য বাতিল, কৃষকদের কৃষি উৎপাদনে ভুতর্কিসহ ৬দফা দাবিতে স্মারকলিপি 

সার ও জ্বালানী তেলের বর্ধিত মূল্য বাতিল, লোডশেডিং বন্ধ ও প্রকৃত কৃষকদের কৃষি উৎপাদনে ভুতর্কিসহ ৬দফা দাবি জানিয়েছে যশোরের দুইটি কৃষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের কাছে এক স্মারকলিপিতে তারা ওই দাবি জানান।

জাতীয় কৃষকক্ষেত মজুর সমিতি ও বাংলাদেশ কৃষক খেত মজুর সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ভরা আমন মৌসুমে ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিগত ৬ মাসের মধ্যে অন্যান্য সারের মূল্যও অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা না পাওয়ার কারণে এবারে আমন চাষে সেচের বিকল্প নেই। বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং এর কারণে সেচ কাজ বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে আমন চাষ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হবে। দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেবে। অন্যান্য কৃষি উৎপাদনও বিপর্যয়ের মুখে।

কোন অজুহাতেই তেলের দাম বৃদ্ধি করে কৃষকসহ দেশের আপামর জনগণকে আরো গভীর সংকটে ফেলা গ্রহণযোগ্য নয়। শতকরা ৪২ ভাগের বেশি ডিজেলের দাম বৃদ্ধি করে কৃষি উৎপাদনকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

সার, জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও বিদ্যুতের লোডশেডিং, কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, কৃষি-কৃষক ও জনগণকে দিশেহারা করে তুলেছে। তারা দাবি করেন, এই মুহুর্তে বর্ধিত সারের মূল্য ও বর্ধিত জ্বালানী তেলের মূল্য বাতিল করতে হবে, লোডশেডিং বন্ধ করতে হবে এবং বিদ্যুৎখাতের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ ও দুর্নীতির সাথে যুক্তদের বিচার করতে হবে, চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য কমাতে হবে এবং গ্রাম-শহরে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে, প্রকৃত কৃষকদের কৃষি উৎপাদনে ভুতর্কি ও কৃষি উপকরণের দাম কমাতে হবে, কৃষিকে রক্ষা করার লক্ষ্যে ফসল বীমা চালু করতে হবে এবং ৬০ বৎসর উর্ধো কৃষককে অবসর ভাতা দিতে হবে এবং বর্ধিত পরিবহন ভাড়া বাতিল করতে হবে।