ভারত বাংলাদেশের বন্ধু ছিল আছে থাকবে: দোরাইস্বামী  

 

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের বন্ধু আছে, অতীতেও ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। দুই নিকট প্রতিবেশীর বন্ধুত্বের ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে সবার আগে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে থাকবে জনগণ।

 

শনিবার বিকেলে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়ে বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী এ কথা বলেন।

 

মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

 

ভারতের হাইকমিশনার বলেন, গত ৫০ বছরে কখনো কখনো আমাদের অনন্য অংশীদারত্ব ও বন্ধুত্বের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে কিংবা ভুল বোঝানো হয়েছে। তাই ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের মতো পবিত্র জায়গায় এসে সমবেত সুধী ও বাংলাদেশের জনগণের সামনে চারটি বিষয় স্পষ্ট করে বলতে চাই।

 

বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং কল্যাণের ভিত্তিতে ভারত-বাংলাদেশ অংশীদারত্ব গড়ে উঠেছে। দুই দেশের জনগণ উপকৃত হবে—এই উপলব্ধির ভিত্তিতে দুই দেশের প্রতিটি উদ্যোগ অংশীদারত্বকে গভীর করেছে। জাতি হিসেবে সম্ভাব্য প্রতিটি মিল, ধর্ম পরিচয়ের সাযুজ্য এবং প্রায় ৪ হাজার ১০০ কিলোমিটারের সীমান্ত ভাগাভাগির প্রেক্ষাপটে বলতে পারি, ভারত বাংলাদেশের সবার বন্ধু আছে, ছিল এবং থাকবে।

 

ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, ভারত কিংবা বাংলাদেশ কিংবা এই উপ-অঞ্চলের কোনো দেশ একা সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারবে না। একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল, নিরাপদ প্রতিবেশী এবং একে অপরের সঙ্গে যুক্ত উপ-অঞ্চল নিশ্চিত করতে আমাদের পরস্পরকে সহযোগিতা করা প্রয়োজন। সবগুলো দেশে সমান অগ্রগতির বিষয়ে ভারতের অঙ্গীকার রয়েছে। এ জন্যই বাংলাদেশের সব মানুষ ও জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে ব্যাপকভিত্তিক, জনগণকেন্দ্রিক উন্নয়ন অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য ভারত বিনিয়োগ করেছে।