সোনার বাংলা অর্জনের জন্য পরিশ্রম করে যেতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

abdul momen
ফাইল ছবি

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সোনার বাংলা অর্জনের জন্য সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহার ও পরিশ্রমের মাধ্যমে আত্মনিয়োগ করতে নতুন প্রজন্মের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। শনিবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে ঘাসফুল শিশু-কিশোর সংগঠনের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।

 

সোনার বাংলা অর্জনের দায়িত্ব বঙ্গবন্ধু আমাদের এবং আমাদের নতুন প্রজন্মকে দিয়ে গেছেন উল্লেখ করেন তিনি। খবর বাসসের।

 

 

ড. মোমেন বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত আমাদের সোনার বাংলা অর্জিত হবে না, ততদিন কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে। এই পথ সহজ নয়, কিন্তু আমরা চাইলে অবশ্যই বিজয় লাভ করবো কারণ আমরা বিজয়ী জাতি।’

 

 

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোনার বাংলা অর্জনের লক্ষ্যে আমাদের একটি রোডম্যাপ দিয়েছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা সোনার বাংলা অর্থাৎ একটি উন্নত, সমৃদ্ধশালী, স্থিতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক অর্থনীতি গড়ে তুলবো, যেখানে ধনী-দরিদ্রের আকাশসম ব্যবধান থাকবে না। যেখানে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা সবার জন্য নিশ্চিত হবে।’

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন অর্জনের জন্য যা যা করার তিনি তা করে যাচ্ছেন এবং গত ১২ বছরে সর্বক্ষেত্রে আমাদের অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা আমাদের হৃদয়ে, নতুন প্রজন্মের হৃদয়ে এই আত্মপ্রত্যয় সৃষ্টি করেছেন যে- আমরা পারি এবং তিনি তার নমুনা আমাদের দেখিয়েছেন। পদ্মা সেতু নিজেদের টাকায় তৈরি করে তিনি দেখিয়েছেন, যা কেউ কল্পনা করেনি।’

 

ড. মোমেন নতুন প্রজন্মকে বড় বড় স্বপ্ন দেখার অনুপ্রেরণা দিয়ে বলেন, ‘তোমাদের স্বপ্ন যদি বড় হয়, তোমাদের অর্জনও বড় হবে। আর তা অর্জনের লক্ষ্যে সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহার ও পরিশ্রম করে যেতে হবে।’

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধে নিজেদের এবং সহযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ অবদানের কথা নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে তুলে ধরেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম ওয়ার কোর্সের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা লে. কর্নেল (অব.) এম আব্দুর রউফ, বীরবিক্রম এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) ওয়াকার হাসান, বীরবিক্রম।

 

ঘাসফুল শিশু-কিশোর সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাসান আব্দুল্লাহ বিপ্লবের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে সংগঠনটির শিশু-কিশোরদের পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথিরা। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন সংগঠনটির শিশু-কিশোরদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।