বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া ট্রলারের সাত জেলে এখনও নিখোঁজ

ঝড়ের কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে তিন শতাধিক জেলেকে এ পর্যন্ত জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। শনি ও রোববার সুন্দরবনসহ এর আশপাশের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে এসব জেলেকে উদ্ধার করে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও কুয়াকাটর আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির লোকজন।

তবে ডুবে যাওয়া ট্রলারের এখনও নয় জেলে নিখোঁজ রয়েছেন এবং ১২২ জন জেলেসহ আটটি ট্রলারের এখনও কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা ও মহিপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা।

নিখোঁজ আটটি ট্রলারের মধ্যে আলীপুর মৎস্য বন্দরের ছয়টি ট্রলারে ৯৯ জন জেলে এবং মহিপুর মৎস্য বন্দরের দুইটি ট্রলারে ২৩ জন জেলে রয়েছেন। নিখোঁজ এসব জেলে পরিবারের স্বজনদের মধ্যে এখন আহাজারি চলছে।

স্বজনদের খোঁজে তারা বার বার ছুটে আসছেন আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য বন্দরে। ভিড় করছেন শিববাড়িয়া নদীর তীরে। কিন্তু স্বজনদের সন্ধান না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যান নিখোঁজ জেলেদের স্বজনরা।

জেলেদের সান্ত্বনা দিতে রোববার রাতে কুয়াকাটার আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য বন্দর পরিদর্শন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. মহিব্বুর রহমান মহিব। তিনি নিখোঁজ জেলেদের স্বজনদের সঙ্গেও কথা বলেন। স্বজনদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নিখোঁজ জেলেদের খুঁজতে যাওয়ার জন্য একটি উদ্ধারকারী নৌযানের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেন সংসদ সদস্য।

এ ব্যাপারে আলীপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, আমার আলীপুর মৎস্য বন্দরের ৯৯ জন জেলেসহ ছয়টি ট্রলারের এখনও কোনো সন্ধ্যান পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া ট্রলার ডুবে নয় জেলে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এসব জেলেকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

মহিপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা বলেন, আমার মহিপুর মৎস্য বন্দরের ২৩ জন জেলেসহ দুটি ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে।

এ ব্যাপারে নিজামপুর কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার সেলিম মন্ডল জানান, ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ জেলে এবং যেসব ট্রলারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না, তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন কোস্টগার্ড সদস্যরা।