হাসিনার পতন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরবো না: অমিত

দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে আন্দোলন সংগ্রামের কোনো বিকল্প নেই। চৌগাছা থেকে সরকার হটানো আন্দোলনের সূচনা শুরু হয়েছে, নিশিরাতের এই সরকারকে হটিয়ে দেশে প্রকৃত জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানকে। সে জন্যে আপনারা প্রস্তুত থাকুন, জয় আমাদের অনিবার্য। গতকাল শনিবার বিকেলে চৌগাছা উপজেলা ও পৌর বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় (ভারপ্রাপ্ত) সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আপনারা কি চান বাংলাদেশে আইনের শাসন ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে, আপনরা কি চান আপনাদের সন্তানেরা নিজ মেধা এবং যোগ্যতায় কর্মস্থানে যাবে, আপনারা কি চান বাংলাদেশের জনগণকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির হাত থেকে সুরক্ষা দিতে, তাহলে শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানিয়ে কোনো লাভ নেই। একটিই সমাধান শেখ হাসিনার পতন। আজকের এই সমাবেশ থেকে শপথ নিতে হবে শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এবং একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক শর্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আদায়ের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউ রাজপথ ছেড়ে যাবো না। সমাবেশে আগত হাজারও নেতাকর্মীর উদ্যেশে তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন শুক্রবার দিবাগত রাতে মরহুম জননেতা তরিকুল ইসলামসহ জেলার শীর্ষ বিএনপি নেতাদের বাড়িতে হামলা হয়েছে, তারা মনে করেছিল হামলা চালিয়ে আমাদের লক্ষ্যচ্যূত করা যাবে, শনিবার যশোরের কচুয়া বাজারে মিছিল বের করি আবারও তারা হামলা করার চেষ্টা করে। ওই এলাকারা হাজারও নেতাকর্মী দাবানলের মত ওই সন্ত্রাসীদের মাঠছাড়া করে দিয়েছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। এই দলের নেতাকর্মীদের হামলা মামলা করে, হত্যা গুম করে আন্দোলন থামানো যাবে না। এখনও সময় আছে জনগণের মুখের ভাষা বুঝার চেষ্টা করে অবিলম্বে ক্ষমতা ছেড়ে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন, অন্যথায় দেশের আপামর জনতা আপনাকে ক্ষমতার মসনদ থেকে টেনে হিঁচড়ে নামাতে বাধ্য হবে।