যশোরে চিহ্নিত চাঁদাবাজরা অস্ত্র ঠেকিয়ে মারপিট করে ৪ লাখ টাকা কেড়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা

mamla rai

 

চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা সদর উপজেলার রুপদিয়া বাজারে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিয়ত চাঁদাদাবি গ্রহন ও পুনরায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা স্বরুপ ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় তিন চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে আদালতে নির্দেশে কোতয়ালি মডেল থানায় শুক্রবার দিবাগত গভীর রাত ২৭ আগস্ট মামলা হয়েছে। মামলায় তিনজনকে আসামী করা হয়েছে। মামলাটি করেন,যশোরের বাঘার পাড়া উপজেলার দরাজহাট গ্রামের বাবলু রহমানের ছেলে নাজমুল ইসলাম (২৮)। আসামীরা হচ্ছে, যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের অজিত দাসের ছেলে মোহন দাস,সহোদর মদন দাস ও সুবোধ সরকারের ছেলে লিটন।

মামলায় নাজমুল ইসলাম উল্লেখ করেন, সে সদর উপজেলার রুপদিয়া বাজারে উত্তম এন্টার প্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে জীবিকা নির্বাহ করে। আসামীরা দূর্ধর্ষ চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির ব্যক্তি। দীর্ঘদিন ধরে আসামী মোহন দাস নাজমুল ইসলাম ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক মামলার ৪ নং স্বাক্ষী সদর উপজেলার রুপদিয়া বাজারে উত্তম এন্টার প্রাইজের মালিক উত্তমের কাছে চাঁদাদাবি করে আসছে। সময় অসময়ে বাদির অফিসে এসে মোহন দাস ও মদন দাস ২ হাজার ৫ হাজার টাকা করে নগদ টাকা চাঁদা স্বরুপ নিয়ে যায়। নাজমুল ইসলাম ও দোকান মালিক উত্তম ভয়ে কিছু না বলে চুপ থাকে। গত ১৩ আগষ্ট নাজমুল ইসলামের কাছে এসে আসামীরা ৫০ হাজার টাকা চাঁদাদাবি করে। দোকানের মালিক উত্তম চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়। এর পর গত ২১ আগষ্ট নাজমুল ইসলাম উত্তমের দোকানের হিসাবের টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য দোকানের বাইরে বের হয়ে মোটর সাইকেল স্ট্যার্ড করার সাথে সাথে আসামীরা এসে হাতে পিস্তল মাথায় ঠেকিয়ে বাদিকে মারপিট করে তার কাছে থাকা ৪লাখ টাকার ব্যাগ নেয়। নাজমুল ইসলাম প্রতিবাদ জানালে তাকে মারপিট করে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে চাঁদাবাজরা দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় নাজমুল ইসলামকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তা কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেন। বাদি উপায়ন্তর না পেয়ে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালতে বিজ্ঞ বিচারক অভিযোগ আমলে নিয়ে কোতয়ালি মডেল থানা কর্তাকে মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করার নির্দেশ দেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁদাবাজ কাউকে গ্রেফতার করতে