যশোরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর ইউনিয়নে রাজাপুর গ্রামের হাবিবা খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। হত্যা করে বিষয়টি আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে। পরে গৃহবধুর লাশ হাসপাতালে ফেলে স্বামীসহ স্বজনেরা পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ মেয়ের পরিবারের। নিহত গৃহবধু হাবিবা বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর গ্রামের জাতির হোসেনের মেয়ে। পরে যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে মেয়ের পরিবারের লোকজনদের হাতে হস্তান্তর করে যশোর কোতয়ালী থানা পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে অভিযোগ হাবিবার পরিবারের ।

হাবিবার পিতা বাঘারপাড়ার রায়পুরের জাকির হোসেন জানান, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারীতে একই উপজেলার জহুরপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের সুরত আলীর ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসি জনি হোসেনর সাথে হাবিবার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের সংসারে কলহ লেগেই ছিল। জনি হোসেন বিবাহের দুই মাস পরে মালয়েশিয়া চলে যান । এরমধ্যে গত ২৭শে আগস্ট সে কাউকে না জানিয়ে বাড়ীতে চলে আসেন । আসার মাত্র চার দিনের মাথায় হাবিবাকে জনি ও তার পরিবারের লোকজন মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি ।

হাবিবার চাচি বলেন, জনির পরকীয়া জেরে খুন হয়েছে হাবিবা খাতুন। তিনি আরও বলেন হাবিবার স্বামী জনি হোসেনের সাথে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের এক গৃহবধুর পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে । জনি তার সব টাকা পয়সা বিদেশে থেকে ওই গৃহবধুর কাছেই পাঠাতেন। এমনকি সে হাবিবাকে না জানিয়ে মালয়েশিয়া থেকে দেশে চলে এসেছেন জনি। এরপর ওই গৃবধুর সাথে নিয়মিত সময় কাটাতে থাকেন। যা নিয়ে হাবিবা ও জনির সাথে বিরোধ চলছিলো।

হাবিবার চাচাতো ভাই রায়হান জানান, হাবিবার শিশু একটি মেয়ে রয়েছে। কিন্তু সে মেয়ের কি অবস্থা তারা এখনও পর্যন্ত জানে না। যোগাযোগের চেষ্টা করলেও জনি ও তার পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এছাড়া হাবিবার কোনো খোঁজও নেয়নি তারা। এ বিষয়ে জনির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভাব হয়নি। এমনকি বাড়িতে যেয়েও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। এদিকে, এই ঘটনার পর যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাঘারপাড়া থানার ওসি ফিরোজ হোসেন জানান, তাদের কাছে খবর এসেছে ওই নারী আত্মহত্যা করেছিলো পরে স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা।