তিন ফুট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত দুবলার চর-সুন্দরবন

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। ফলে মোংলা বন্দরসহ সংলগ্ন সমুদ্র ও সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে রোববার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।

 

নিম্নচাপের কারণে মোংলা বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে সকাল থেকে বঙ্গোপসাগর পাড়ের সুন্দরবনের দুবলার চরে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এছাড়া দুপুরের দিকে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় তিন ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে দুবলার চরসহ সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গা।

এছাড়া সুন্দরবনের করমজলেও অস্বাভাবিক পানি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন করমজল বন্যপ্রাণী ও প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির। তিনি বলেন, এখন পূর্ণিমার গোন চলছে, এ সময়ে এমনিতেই পানির চাপ বেশি থাকে। তারমধ্যে নিম্নচাপের প্রভাবে পানি বেড়েছে প্রায় তিন ফুটের মতো।

 

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলিপ মজুমদার বলেন, সকাল থেকে দুবলার চর এলাকায় বৃষ্টিপাতসহ ঝড়ো হাওয়া বইছে। এছাড়া স্বাভাবিকের তুলনায় তিন ফুট উচ্চতার জ্বলোচ্ছাসে চর ও বন প্লাবিত হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল হয়ে উঠতে থাকায় প্রায় অর্ধশত ট্রলার দুবলার ভেদাখালী, ভাঙ্গার খাল ও মেহেরআলী খালে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছেন।

 

তিনি আরও বলেন, গত ২-৩ দিন ধরে আবহাওয়া খারাপ হতে থাকায় সাগরের অন্যান্য ট্রলারগুলো নিরাপদে নিজ নিজ এলাকায় চলে গিয়েছে।

মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ অমরেশ চন্দ্র ঢালী বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি শনিবার বিকেলের পর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি উড়িষ্যা উপকূল ও বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি ক্রমেই ঘনীভূত হওয়ায় সাগর উত্তাল ও উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে ঝড়-বৃষ্টি হবে। এমন বৈরি আবহাওয়া আগামী আরও ২-৩ দিন ধরে অব্যাহত থাকবে। এছাড়া স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েক ফুট পানি বাড়বে।