ঝিনাইদহে মরিচের দর পতন, ৩’শ টাকার মরিচ ১৫ টাকায় বিক্রি

 

ঝিনাইদহে হটাৎ করেই কাঁচা মরিচের দর পতন হয়েছে। সপ্তাহ দুয়েক আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৩’শ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন তা ১৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মরিচের ভরা মৌসুমে দরপতনে জেলার মরিচ চাষিরা হতাশ হয়ে পড়েছে। কৃষকেরা জানান, এখন প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ জমি থেকে উঠাতে খরচ হচ্ছে ১০ টাকা আর বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা কেজি দরে। তাছাড়া বাজারে আনতে পরিবহন, ঢলনের নামে ওজনে বেশি, বাজার পরিস্কার খরচ নেন তারা। এমন অবস্থা এ ছাড়াও আমরা বর্তমান জিনিস কিনতে গেলে দাম বৃদ্ধির কারণে হতাশ হচ্ছি।সদর উপজেলার হলিধানী গ্রামের কাঁচা মরিচ চাষি আলাউদ্দিন বলেন,মরিচ চাষের জন্য সার কিনতে গেলে চাহিদা মত পাওয়া যাচ্ছে না।আবার পাওয়া গেলেও দাম বেশি। আবার কীটনাশক বিষের দাম বেড়েছে কয়েক গুন।সবমিলিয়ে এই দামে তাদের লোকসানের আশঙ্কা।সদর উপজেলার বিষয়খালী বাজার,তেঁতুলতলা,গোয়ালপাড়া, নগরবাথান, হলিধানী, বাজার গোপালপুর,গান্না,কালীগঞ্জ উপজেলার,বারো বাজার ও কাষ্টভাঙ্গা বাজারে প্রতি কেজি মরিচ ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে কিনতে দেখা গেছে। ব্যাবসিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,তারা প্রতিদিন চাহিদা অনুযায়ী মরিচ কিনে থাকেন। কিন্তু বাজারে চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণ মরিচ আসছে তাই দাম কম হচ্ছে।শৈলকূপা উপজেলার মদনডাঙ্গা বাজারে মরিচ বিক্রি করতে আসা মরিচ চাষি আইউব হোসেন জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে নাবি মরিচ করেছেন।গাছে মরিচ ধরেছেও ভালো । তুলতে ১০ টাকা প্রতি কেজি। বাজারে আনতে পরিবহন খরচ, ঢলনহ নানাভাবে খরচের পর টাকা পাই। এই দামে খরচের টাকাই উঠবে না।তিনি আরও বলেন,মরিচ সকাল ১০ টার মধ্যে জমি থেকে তুলে বাজারে আনতে পারলে একটু দামে বিক্রি করতে পারা যায়।আর দুপুর বা পরে আসলে দাম কম হবে। এক কথায় ব্যাবসায়িকদের চাহিদা পূরণ করতে পারলে দাম কমে যায়।আর চাহিদা পূরণ না হলে দাম একটু ভালো থাকে।জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আজগর আলী জানান,চলতি মৌসুমে ঝিনাইদহ জেলার ৬ উপজেলায় ১ হাজার ৭’শ ২৪ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। বর্তমানে নতুন মরিচের গাছে মরিচ আসছে। উৎপাদন ভালো হচ্ছে,যে কারণে দাম কিছুটা কম।তবে এভাবে টানা বর্ষা চলতে থাকলে মরিচ গাছ মরে গেলে মরিচের দাম বাড়তে পারে।