যশোরে চাকু ঠেকিয়ে ছিনতাই, চাঁদাদাবির ঘটনায় মামলা গ্রেফতার-১

একটি সংঘবদ্ধ চক্র ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল ভাড়া নিয়ে সদরের আম বটতলার অদূরে জোর পূর্বক বেগুন ক্ষেতে নিয়ে মারপিট ও চাকু ধরে ৫০ হাজার টাকা চাঁদাদাবি করে। পরে নগদ সাড়ে ৩ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে অবৈধ ভাবে একটি চায়ের দোকানের মধ্যে আটক রেখে বিকাশের মাধ্যমে টাকা এনে দেওয়ার চাপ সৃষ্টি করে। এ সময় র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের একটি টহলদল চক্রের সদস্য সোহাগ নামে এক যুবককে বার্মিজ চাকুসহ গ্রেফতার করেছে। সে যশোর সদর উপজেলা পুলতাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। এ ঘটনায় মোটর সাইকেল চালক মিরাজুল ইসলাম বাদি হয়ে মঙ্গলবার ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় গ্রেফতারকৃত সোহাগসহ সহযোগী ৩ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। মিরাজুল ইসলাম যশোর সদর উপজেলার গাইদগাছী গ্রামের হারেজ আলী হাওলাদারের ছেলে। পলাতক আসামীরা হচ্ছে,সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের আব্দুলপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম ও চুড়ামনকাঠি গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে রবিউল ।
মিরাজুল ইসলাম মামলায় উল্লেখ করেন, সে মোটর সাইকেল ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৩ টায় বসুুন্দিয়া বাজার হতে একজন যাত্রী নিয়ে চুড়ামনকাঠি বাজারে আসে। চুড়ামনকাঠি বাজার থেকে বিকেল সোয়া ৫ টায় আব্দুলপুর বাজারে এসে অপেক্ষা করতে থাকে। ওই সময় সোহাগ নামে এক যুবক ২শ’ টাকা ভাড়া ঠিক করে মোটর সাইকেল চালককে আব্দুল পুর বাজার হতে চৌগাছা বাজারে যাওয়ার জন্য রওনা দেই। যাওয়ার পথে আমবটতলা হতে তৌহিদুলকে সোহাগ মোটর সাইকেলে উঠিয়ে কিছূদূর যাওয়ার পর মিরাজুল ইসলামকে রাস্তার পাশে জোর করে বেগুন ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে লাঠি দিয়ে মিরাজুল ইসলামের দুই পায়ে হাটুর নীচে ও উপরে মারপিট করে ও চাকু ধরে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদাদাবি করে। সোহাগ ও তৌহিদুল ইসলাম মিরাজুল ইসলামকে বলে টাকা না দিয়ে চাকু দিয়ে গলা কেটে মুন্ডু আলাদা করে ফেলবে। তৌহিদুল মোটর সাইকেল চালকের পকেটে থাকা নগদ সাড়ে ৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। বাকি টাকা বিকাশের মাধ্যমে এনে দেওয়ার শর্তে মোটর সাইকেল চালককে আব্দুল পুর বাজারে নিয়ে আসে। সন্ধ্যা ৭ টায় আব্দুল পুর বাজারে আনার পর তাদের সহযোগী রবিউল আসে। তিনজন মিলে মোটর সাইকেল চালক মিরাজুল ইসলামকে আব্দুল বাজারে জনৈক বাবু গাজী চায়ের দোকানের ভিতরে নিয়ে অবৈধভাবে আটক করে মারপিট করতে থাকে। সোহাগ ও রবিউল চায়ের দোকানের মধ্যে মিরাজুল ইসলামকে পাহারা দেয় এবং তৌহিদুল ইসলাম বাইরে টাকার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। দোকানের ভিতর থাকা সাবেক ইউপি মেম্বর মহসিন কে মিরাজুল ইসলাম কৌশলে ঘটনা খুলে বললে সে মোটর সাইকেল চালককে উক্ত আসামীদের সা থে ১০ হাজার টাকা নিয়ে তাদের জিম্মা হতে মুক্ত হতে বলে চলে যায়। সন্ধ্যা অনুমান সোয়া ৭ টায় র‌্যাব-৬ এর একটি টহলদল ওই স্থান দিয়ে যাওয়ার সময় ওইস্থানে শোরগোল দেখে র‌্যাবের টহলদল তাদের গাড়ী থামিয়ে ঘটনার বিষয় জানতে চাই। তখন মিরাজুল ইসলাম দোকানের ভিতর হতে এসে তাদেরকে ঘটনাটি খুলে বললে তাদের সহযোগীতায় সোহাগকে আটক করে। তার কোমরে থাকা একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করে। অন্যান্য সহযোগী আসামীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। র‌্যাবের হাতে গ্রেফতারকৃত সোহাগ চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করার কথা স্বীকার করে। পলাতক আসামীদের নাম প্রকাশ করে। পরে সোহাগকে কোতয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করলে রাতে মিরাজুল ইসলাম বাদি হয়ে গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।