গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকাছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীরা

bnp logo

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় বিএনপির নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের তিন শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মামলার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তাঁরা।

গত ৮ সেপ্টেম্বর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশের জেরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে ৬০ নেতাকর্মী আহত হন। এ ঘটনায় ৯ সেপ্টেম্বর উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ছিদ্দিকুর রহমান ফকির ১০০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০ থেকে ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- শ্রীরামকাঠী ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফাহিম মৃধা, উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব মো. শহিদুল ইসলাম খান, জেলা ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম টনি, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. এনামুল হক পলাশ, শেখমাটিয়ার যুবদলের কর্মী মাহবুব সিকদার ও সদর ইউনিয়নের মো. নাঈম শেখ।

উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ লিলন বলেন, পুলিশ তাঁদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা (পুলিশের সাবেক সদস্য) ও মায়ের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছে। এ সময় তারা ঘরে তাণ্ডব চালায়। এর বর্ণনা দিতে গিয়ে মা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিন বছরের ভাতিজা ভয়ে চিৎকার করে। পুলিশ আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে এমন আচরণ করছে।

একই অভিযোগ করে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক এইচএম শামীম হাসান বলেন, পুলিশ তাঁর বাড়িতে গিয়ে তল্লাশির নামে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছে। বাড়ির মালপত্র তছনছ করেছে।

এ বিষয়ে নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, পুলিশের এমন অশোভন আচরণ করার কথা না। এরপরও কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।