দেশের গণমাধ্যম স্বাধীনতা ভোগ করতে পারছে না: জিএম কাদের

দেশের গণমাধ্যম যথাযথ স্বাধীনতা ভোগ করতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

রোববার জাপার বনানী কার্যালয়ে জাতীয় সাংবাদিক ঐক্য (এনইউজে) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই দাবি করেন।

জিএম কাদের বলেন, যে দেশের গণমাধ্যম যতটা স্বাধীন, সে দেশের গণতন্ত্র ততটাই শক্তিশালী। একটি দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দেখে সহজেই বোঝা যায় সে দেশের গণতন্ত্রের হাল হকিকত।

জাতীয় সাংবাদিক ঐক্যের আহ্বায়ক খন্দকার দেলোয়ার জালালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জিএম কাদের সেন্টার ফর গর্ভনেন্স স্টাডিজ সিজিএসের তথ্য উল্লেখ করে বলেন, ‘গেল দুই বছরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১০৮টি মামলায় ২০৮ জন সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এতে প্রমাণ হয়, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন তৈরি হয়েছে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে।’

এই কালো আইন অবিলম্বে সংশোধন করা জরুরি বলে মনে করেন জিএম কাদের। তিনি বলেন, ‘সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের তারিখ পিছিয়েছে ৯১ বার। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি। ১০ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো সাগর-রুনি হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা চাই, সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার হোক।’

জ্যেষ্ঠ এ রাজনীতিক আরও বলেন, ‘টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়া আতঙ্কের মাঝে দায়িত্ব পালন করে। প্রাণ খুলে কথা বলতে পারে না কেউ। খবর প্রকাশে নিজেরাই নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ বা সেল্ফ সেন্সরশিপ করতে বাধ্য হচ্ছে। গণমাধ্যম দুর্বল হলেই সমাজে জবাবদিহিতার ঘাটতি হয়। ফলশ্রুতিতে দুর্নীতি বেড়ে যায়। দেশের গণমাধ্যমকে দুর্বল করে পরোক্ষভাবে দেশকে অনিয়ম ও দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য বানাতে সহায়তা করা হচ্ছে।’