রক্ত দিয়েই গণতন্ত্র উদ্ধার করব: গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আন্দোলনের জোয়ার শুরু হয়েছে, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না করে ঘরে ফিরে যাব না। মাত্র রিহার্সেল, ফাইলান খেলায় এখনো নামিনি।

আন্দোলনে যারা রক্ত দিয়েছেন, তা বৃথা যাবে না। রক্ত দিয়েই গণতন্ত্র উদ্ধার করব।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মিরপুর ৬ নং কাঁচাবাজার সংলগ্ন সড়কে দলীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জনগণ ভোটের মাধ্যমে যাদের দায়িত্ব দেবেন, তারাই দেশ চালাবেন। যারা জনগনের ভোটে নির্বাচিত নয়, তাদের কাছে কোনো দাবি করে লাভ নেই। আজ জনগণের একটাই দাবি, সরকারের পদত্যাগ। শান্তিপূর্ণ কমসূচি দিয়ে কিছু হবে না। সবার হাতে মোটা লাঠি থাকতে হবে, কাউকে আঘাত করার জন্য নয়, নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য। তবে, আঘাত আসলে পাল্টা আঘাত করতে হবে।

ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের জনসম্মুখে হাজির করেন। তা না হলে জনগণের কাঠগড়ায় আপনাদের বিচার হবেই। পাল্টা আঘাত শুরু করলে পালানোর জায়গা পাবেন না। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার যে কথা বলছিলেন, সামনে আবার সেই দিন আসছে।

এই বিএনপি নেতা বলেন, লড়াই করে দেশ স্বাধীন করেছি কাউকে আর স্বৈরাচারী কায়দায় শাসন করতে দেব না। আমাদের এই আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য না। এই আন্দোলন জনগণকে শৃঙ্খলমুক্ত করার জন্য।

প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এখনো সময় আছে জনগণের কাতারে আসেন, সব অন্যায় মাফ হয়ে যাবে। ভয় পাবেন না, ভুল বুঝানো হচ্ছে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আপনাদের চাকরি চলে যাবে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কারো চাকরি যাবে না। নিরপেক্ষ থাকুন, নইলে সরে দাঁড়ান।

এই সরকারের অধীনে যারা নির্বাচন করতে চাইবে বা ভাগ বাটোয়ারার নির্বাচন করতে চায়, সেটা আমার দলের হোক, অন্য কোন দলের হোক, তাদের রাজপথে প্রতিহত করতে হবে।

 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হবে না। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের নাম উল্লেখ না করে গয়েশ্বর বলেন, যাওয়ার সময় বলে গেছেন যে, আপনারা ব্যক্তির পক্ষে না, দেশের পক্ষে, জনগণের পক্ষে।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়েও কঠোর সমালোচনা করেন এই বিএনপি নেতা।

তিনি বলেন, লুটপাট করতেই এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে কয়েকজনের পকেট ভারী হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বানচালের জন্য অনেক কারসাজি করা হয়েছে, আক্রমণ করা হয়েছে। কারণ বিএনপি জনগণের কল্যাণে কথা বলে। আজকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। মিডিয়ার মুখে তালা মারতে চায়। এই স্বাধীন দেশটাকে অন্য জায়গায় বিক্রি করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এবার রাজপথে ফয়সালা হবে। আন্দোলনের মুখে সরকারের বিদায় নিতে হবে। বুক পেতে দেব, রক্ত দেব, তবুও এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে দেব না। তাই প্রশাসনকে বলব, নিরপেক্ষ হয়ে যান। না পারলে সরে যান।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী , কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দীন আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য তাবিথ আউয়াল প্রমুখ বক্তৃতা করেন।