গণমাধ্যমের অবস্থা হুইলচেয়ারের মতো: গয়েশ্বর

Goyessor Ray

গণমাধ্যমের অবস্থা হুইলচেয়ারের মতো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে আড়াল থেকে ভয় দেখানো কোনো সভ্য দেশে বা কোনো স্বাধীন রাষ্ট্রে কখনোই সম্ভব না।

গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র একে অন্যের পরিপূরক। এখন কোনোটিই তো নেই! কোনটা কার পরিপূরক? দুটোই দুঃখ-দুর্দশায় কাঁধে হাত দেওয়া হুইলচেয়ারে চলতে পারে।

কারণ, গণমাধ্যমের দুর্দশা, আর গণতন্ত্র তো নাই-ই।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হো‌সেন হ‌লে বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটির ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন গয়েশ্বর।

বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র একে অন্যের পরিপূরক হবে কী করে? কোনোটিই তো সবল নেই। যদি গণমাধ্যম সফল হয় তাহলে গণতন্ত্র দুর্বল হতে পারে না। আর সত্যিকারের গণতন্ত্র থাকলে গণমাধ্যমের দুর্বলতা প্রকাশ করার কোনো সুযোগ নেই। এর মূল কারণ একটা ফ্যাসিবাদী সরকার সেটা নয়, একটা সম্পদ লুণ্ঠনকারী সরকার।

 

তিনি বলেন, ছোট্ট একটা দেশ থেকে ১০ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যায়। যারা এই টাকাটা পাঠিয়েছে তারা তো এটি আয় করেছে। এই আয়ের নামই লুটপাট। আর সেটা করেছে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। অর্থাৎ বড় বড় প্রকল্প করছে। করোনাকালীন ৫০ টাকার জিনিসও ৫০০ টাকায় কেনা হয়েছে। আর বালিশ-পর্দার কথা তো সবাই জানে। আজকের সরকার আলিবাবা চল্লিশ চোরকেও হার মানিয়েছে। চুরি করছে, লুটপাট করছে, ডাকাতি করছে।

 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আরও বলেন, সংবাদপত্র যদি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে তাহলে বিরোধী দল যা করতে না পারে তার থেকে বেশি সরকারকে চাপে রাখতে পারে, অপকর্ম থেকে বিরত রাখতে পারে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলেও সমালোচিত বিরোধী দলে থাকলেও সমালোচিত। ক্ষমতাসীন দলের লোকদের প্রশংসা ব্যতীত অন্য কথা বললে কারো হাত পা কাটা যায়, কেউ গুম হয়ে যায়।

 

বিএনপির বিরুদ্ধে লিখলে আর যাই হোক এগুলো হয় না। কেউ যদি আমার বিরুদ্ধে লিখে আমি ভুলেও তাকে টেলিফোন করি না। আমার একটা আত্মবিশ্বাস আছে; তার লেখা সে লিখবে, আমাকে যারা চিনে তারা যদি মনে করে এটা সত্য, আর যদি মনে করে মিথ্যা তাহলে তারই ক্ষতি। আমার যেটা ভালো লিখবে, আমার খারাপও লিখবে।

 

গয়েশ্বর আরও বলেন, ধর্ষণকারীদের শাস্তি হবে। মানবতাবিরোধী আদালত থাকবে। আমারা দেশিয়দের শাস্তি দিতে পেরেছি। কিন্তু পাকিস্তানি সোলজারদের শাস্তি দিতে পারি নাই। কারণ ভারতীয়দের মধ্যস্থতায় তাদেরকে পাকিস্তানে ফেরত দিতে হয়েছিল। নেওয়াজি আত্মসমর্পণ কার কাছে করলো বাংলাদেশের? কেন উপস্থিত থাকল না, কেন থাকতে পারল না, সে অস্থায়ী সরকারের প্রধানই হোক, প্রধানমন্ত্রীই হোক অথবা জেনারেল ওসমানীই হোক। কেউ ছিল?