টাকা পাচারের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়েছে : ড. মোশাররফ

সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট আর বিদেশে টাকা পাচারের কারণে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

আজ রবিবার বিকালে বাড্ডা হাইস্কুল মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির (গুলশান জোন) আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ অভিযোগ করেন।

মহানগর উত্তর ৮ জোনের উদ্যোগে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বাড়াসহ সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে এ সমাবেশ হয়। সমাবেশে গুলশান-বাড্ডা-রামপুরা থানার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে অসংখ্য নেতাকর্মী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল নিয়ে অংশ নেয়।
ড. মোশাররফ বলেন, আজকে আমরা যে কারণে সমাবেশ করছি এটা বিএনপির কোনো ইস্যু নয়, এটা এ দেশে ১৮ কোটি মানুষের ইস্যু। আজকে এ সরকার মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি করে বিদেশে টাকা পাচারের কারণে বাংলাদেশকে দেউলিয়া করে ফেলেছে। সরকার হঠাৎ শতকরা ৫০ শতাংশের বেশি জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য লাগামহীন। আওয়ামী সিন্ডিকেট নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন লোডশেডিং জাদুঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ আজকে লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। অর্থনীতি ধ্বংসের কিনারায় চলে গেছে। এর একমাত্র কারণ সরকারের দুর্নীতি ও বিদেশে টাকা পাচার।

তিনি বলেন, এ সরকার দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করে গায়ের জোরে ক্ষমতায় রয়েছে, সেজন্য সাধারণ মানুষের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। আজকে গরিব-খেটে খাওয়া মানুষের ঘরে হাড়ির আগুন জলছে না। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বলতে চাই, আপনারা আপনাদের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খবর নিয়ে দেখুন, তাদের হাড়িতে কী জুটছে। এমনি একটি দুরাবস্থার মধ্যে দেশ নিপতিত।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও এবিএম রাজ্জাকের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদীন ফারুক, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, নির্বাহী সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মহানগর উত্তর বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল, আমিনুল হক, আব্দুল আলীম নকী, মুনসী বজলুল বাসিত আনজু, শামসুল হক, তহিরুল ইসলাম তুহিন, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব প্রমুখ।