আমিরাতের বিপক্ষেও বাংলাদেশের কষ্টার্জিত জয়

আরেকটু হলে জয়টা ছিনিয়েই নিয়ে যাচ্ছিল আরব আমিরাত। বিশ্বকাপ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আমিরাতের বিপক্ষে খেলেও বেগ পেতে হয়েছে সাব্বির-মিরাজদের। বাংলাদেশকে প্রায় হারের শঙ্কায় ফেলে দিলেও শেষ পর্যন্ত ৭ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সোহানরা। বাংলাদেশের দেওয়া ১৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানেই থেমে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস। বাংলাদেশকে জিততে হয়েছে বেশ কষ্ট করে।

শনিবার রাতে দুবাই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দুই মেকশিফট ওপেনার মিরাজ, সাব্বির রহমান এবং তিন নম্বরে নামা লিটন দাস পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। কোনো রান না করে আউট হয়ে যান সাব্বির। মিরাজ করেছিলেন ১৪ বলে ১২ রান। এরপর ৮ বলে ১৩ রান করে আউট হয়ে যান লিটন কুমার দাস। আর ইয়াসির আলি রাব্বী আউট হন ৪ রানে। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত সাজঘরে ফেরেন মাত্র ৩ রানে।

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দুর্দান্ত খেলতে থাকেন আফিফ ও সোহান। দুজন মিলে তুলে নেন ৮১ রানের জুটি। তাতেই লড়াকু সংগ্রহ পেয়ে যায় সফরকারীরা। ব্যাট হাতে দলকে চাপমুক্ত করা আফিফ ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণের পর অপরাজিত থাকেন ৭৭ রানে। মাত্র ৫৫ বলে খেলা তার ইনিংসটি সাতটি চার ও তিনটি ছয়ে সাজানো। এদিকে ২৫ বলে ৩৫ রান করেন সোহান।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে সাবির আলী ও আয়ার আফজাল খান ৩ ওভার করে হাত ঘুরিয়ে ১৬ রান দিয়ে একটি করে উইকেট নেন। লেগ স্পিনার কার্তিক মায়িপান ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। অন্য স্পিনার জাওয়ার ফারিদ ৪ ওভারে দেন ৩৮ রান। তুলে নেন এক উইকেট।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটি দারুণ শুরু করে আমিরাতের। ৫ম ওভারে দলীয় ২৭ রানে হারায় প্রথম উইকেট। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে চিরাগ সুরি এবং আরিয়ান লাকরা মিলে গড়েন ৩৯ রানের দুর্দান্ত এক জুটি। এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারায় আমিরাত। মিরাজ দুই সেট ব্যাটার চিরাগ সুরি এবং আরিয়ান লাকরাকে ফেরান। ৮৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ভেঙে যায় আরব আমিরাতের ব্যাটিংয়ের মূল ভিত্তি।

এরপর কোনো ব্যাটারই সেভাবে প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। তবে ৮ম উইকেটে ২২ রানের জুটি গড়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন আয়ান আফজাল এবং কার্তিক মাইয়াপ্পান। কার্তিককে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। তবে তখনও লড়াই থামায়নি আমিরাত।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য আমিরাতের দরকার ছিল মাত্র ১১ রানের হাতে ছিল দুই উইকেট। তবে শরিফুল ইসলাম আয়ান আফজাল এবং জুনাইয়েদ সিদ্দিকের উইকেট তুলে নিলে আর জয়ের বন্দরে নোঙর করা হয়নি আরব আমিরাতের। আর তাতেই বাংলাদেশ পেয়ে যায় ৭ রানের ঘাম ঝরানো জয়।

আরব আমিরাতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন চিরাগ সুরি। এছাড়া ২৫ রান করেন আয়ান আফজালের ব্যাট থেকে। অন্যদিকে বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন মিরাজ এবং শরিফুল ইসলাম। আর দুটি উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান।