প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে যশোরে ঘর উপহার পেলেন এক চা দোকানি

যশোরে গৃহহীন এক চা দোকানদারকে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে বাড়ি উপহার দিয়েছেন যশোর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল। যুবলীগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান লিখলেন নির্দেশে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল নিজস্ব অর্থায়নে এই বাড়িটি তাকে উপহার দেন।
বুধবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উদযাপনের অংশ হিসাবে সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের হাটবিলা বয়রাতলা গ্রামের আবু তালেব মোড়লের ছেলে আজিজুর রহমানের হাতে এই ঘরের চাবি তুলে দেন তিনি। এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মুজিববর্ষ উপলক্ষে সদর উপজেলার হৈবতপুর ইউনিয়নের তীরেরহাট গ্রাামের এক দরিদ্র কৃষককে আনোয়ার হোসেন বিপুল আরো একটি ঘর উপহার দিয়েছিলেন।
নতুন ঘর পেয়ে যারপরনায় খুশি শিশুকাল থেকে দারিদ্র্যের সাথে যুদ্ধ করা চা দোকানদার আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘শিশুকাল থেকেই রাক্ষসে অভাবের সাথে যুদ্ধ করে বড় হয়েছি। দারিদ্র্যের কারণে লেখাপড়া করতে পারেনি। স্থায়ী কোনো ঘর জীবনদশাই করতে পারিনি। তবে আমার সন্তানদের আমি লেখাপড়া শেখানোর চেষ্টা করছি। অল্প আয়ে সংসার চলে। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে মাথা গোজার ঠাই উপহার পেয়েছি। এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। একই সাথে মানবিক নেতা আনোয়ার হোসেন বিপুলের প্রতিও আমি কৃতজ্ঞ।’
জানা যায়, অসুস্থ্য আজিজুর রহমানের পাঁচ সদস্যের সংসার চলে একমাত্র চা দোকানের আয়ে। স্বামী-স্ত্রী সাথে তিন মেয়ে। উত্তরে কালো মেঘ দেখলেই পিলে চমকে যায়। সামান্য সম্বল নিয়েই অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয়। ঝড়-বৃষ্টি ছিল তার জীবনের সবথেকে বড় শত্রু। সেই শত্রুকে অবশেষে জয় করতে পেরেছেন আজিজুর রহমান। গাড়ো-কালো মেঘ দেখে এই দম্পতির মুখ আর অন্ধকারে ঢেকে যাবে না।
আজিজুর রহমানের প্রতিবেশী লোকমান হোসেন, হামিদুর রহমান ও জাবের হোসেন জানান, শিশুকাল থেকেই দারিদ্রের সাথে বসবাস করলেও আজিজুুর রহমান কখনো অসৎ জীবনযাপন করেননি। জীবনভর আল্লাহর কাছে পরীক্ষা দিয়েছেন। অবশেষে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জন্মদিনে স্থায়ী নিবাস হয়েছে তার। অমায়িক এই মানুষের ঠিকানা হওয়ায় তারা সবাই খুশি।
যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, ‘আমাদের আদর্শের নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি জীবনদশায় মানুষের দুঃখমোচনের জন্য কাজ করেছেন। সেই আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করছে যুবলীগ। যুবলীগ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান লিখিলের নেতৃত্বে ইতিমধ্যে যুবলীগ একটি মানবিক সংগঠনে রুপান্তর হয়েছে। আমরা তাদের কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। তাদের নির্দেশনা মেনে করোনা কালে মানুষের পাশে ছিলাম। মুজিববর্ষে এক অসহায় কৃষককে ঘর উপহার দিয়েছি। আর সর্বশেষ বৃহস্পতিবার মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে আরো একজনকে একটি ঘর উপহার দিতে পেরে আমি নিজেও একজন সৌভাগ্যবান বলে মনে করছি। যশোরে আমাদের এই মানবিক তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।’