আওয়ামী লীগের সহ্যের বাঁধ ভেঙে গেলে ভালো হবে না: নানক

jahangir kabir nanok
ফাইল ছবি

 

আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলীয় কর্মীদের খোঁজখবর নেওয়া শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলের প্রতিনিধি দলের নেতারা।

আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলীয় কর্মীদের খোঁজখবর নেওয়া শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলের প্রতিনিধি দলের নেতারা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আওয়ামী লীগেরও সহ্যের সীমা রয়েছে। সহ্যের বাঁধ যদি ভেঙে যায় তার ফল ভালো হবে না। আমরা চাই, দেশে শান্তিশৃঙ্খলা ও গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখতে। জনগণের শান্তিশৃঙ্খলা, জানমাল নিরাপত্তার জন্য সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তার ভূমিকা পালন করবে।

আজ শুক্রবার বিকেলে হাজারীবাগে বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলীয় কর্মীদের খোঁজখবর নিতে যান আওয়ামী লীগ নেতারা। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলের প্রতিনিধি দলের নেতারা। সে সময় উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। দলের পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসার সমস্ত ব্যয় বহন করা হবে বলে আহতদের পরিবারের সদস্যদের আশ্বস্ত করেন নেতারা। এ ধারাবাহিকতায় আহতদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সচ্ছলতার জন্য নগদ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।

আহতদের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, শাহ আলমের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। আইরিনের দুই হাত ভেঙে দিয়েছে এবং আবদুল্লাহ এখন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। আবদুল্লাহর শরীরে ১৮টি সেলাই লেগেছে এবং তার কিডনি ড্যামেজ হয়ে গেছে। সে এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিইউতে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

তিনি বলেন, এই অবস্থা বিএনপি-জামায়াত দেশব্যাপী চালাচ্ছে। শুধু আওয়ামী লীগকে লক্ষ্য করে নয়, তারা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পুলিশ বাহিনীর ওপর অতর্কিত হামলা করছে। এদের খাসিলত কোনোদিনই ভালো হলো না। এরা ২০০৯ সাল থেকেই একই অবস্থা সৃষ্টি করেছে। অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, মানুষ হত্যা করেছে, রাজনীতির নামে এরা সন্ত্রাসীর পথ বেছে নিয়েছে। সরকারি অফিস জ্বালিয়ে দিয়েছে। ট্রেন লাইন উপড়ে ফেলেছে।

 

মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা সরকারের দায়িত্ব জানিয়ে নানক বলেন, দেশে গণতন্ত্র রয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে মিছিল-মিটিং করার অধিকার দিয়েছেন। কিন্তু সেই অধিকার মানে যদি মনে করা হয়, তারা যা ইচ্ছা তাই করবে, জনগণের ওপর হামলা করবে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর

 

হামলা করবে, পুলিশের ওপর হামলা করবে- তাহলে আমরাও বলতে চাই, জনগণের শান্তিশৃঙ্খলা ও জানমালের নিরাপত্তার জন্য সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও জনগণকে সাথে নিয়ে তার ভূমিকা পালন করবে।

 

বাহাউদ্দিন নাছিম বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলায় দলের নেতাকর্মীদের আহত হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, গত দুইদিন আমাদের আহত নেতাকর্মীদের দেখছি। আমরা বলতে চাই, সন্ত্রাসী কায়দায় সশস্ত্র কায়দায় মানুষের ওপর, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, দেশ টিভির সাংবাদিকদের ওপর নির্মমভাবে আঘাত করেছে। আমরা এই সকল কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

 

নাছিম বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে যদি কোনো রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে, সেক্ষেত্রে আমাদের বাধা দেয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। আমাদের কোনো কর্মসূচি নেই।

 

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হাজারীবাগে বিএনপির হামলায় ঘটনায় সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাধীন কর্মীদের খোঁজখবর নেন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের নেতারা। তারা হলেন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মির্জা আজম। এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।