মির্জা ফখরুলের বাবা ছিল যুদ্ধাপরাধী: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

mojammel haque
ফাইল ছবি

 

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেনে, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাবা মির্জা রুহুল আমীন ছিল চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর সময় যুদ্ধাপরাধী হিসেবে কারাগারে বন্দি ছিল। তার বিচারও শুরু হয়েছিল। কিন্তু জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি জিয়া ক্ষমতায় এসে সেই বিচার কার্য বন্ধ করে দেয়। রুহুল আমীন রাজাকারকে জেল থেকে মুক্তি দেয়। তখন আরও ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধীকে তখন জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।’

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে এক ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

 

শিক্ষা শান্তি প্রগতির পতাকা তলে, নব প্রজন্মের ঐক্যবদ্ধ জাগরণের আহ্বানে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ছাতির বাজার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ছাত্রলীগের অনেক সোনালী অর্জন আছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের ২৭ হাজার নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন, অনেকে পঙ্গুত্বও বরণ করেছেন। বাঙালি জাতিকে শোষণ থেকে মুক্তির জন্য জাতির পিতা ছাত্রলীগ গড়ে তুলেছিলেন।’

 

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুলতান মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির মোড়লের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘বাঙালির ইতিহাস-ছাত্রলীগের ইতিহাস। বাঙালি জাতিন নানা দুর্যোগ ও দুর্বিপাকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। ছাত্রলীগের ৫০ লাখ নেতাকর্মীকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কোনো ষড়যন্ত্রই ছাত্রলীগের ঐক্যবদ্ধতা ভাঙতে পারবে না।’

 

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান বাপ্পী, গণযোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক শেখ শামীম তুর্য, গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মোশিউর রহমান সরকার বাবু, সাধারণ সম্পাদক শেখ মোস্তাক আহমেদ কাজল প্রমুখ। গাজীপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও মহানগর ছাড়াও আশেপাশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে বিপুল সংখ্যক ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এ সমাবেশে অংশ নেন। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হওয়ার আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ছাতির বাজার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ। এক পর্যায়ে মাঠের চার দিকে অন্তত এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থান নেয় দলীয় নেতাকর্মীরা। পরিশেষে পরিবেশিত হয় অ্যাশেজ ব্যান্ডের গান। গভীর রাত পর্যন্ত চলে এ অনুষ্ঠান।