যশোরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে যুবতীকে ধর্ষন মামলায় পিতা ও পুত্র আসামি 

বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিক বার ধর্ষনের অভিযোগ এনে ছেলেকে ও সহযোগী হিসেবে পিতাকে আসামী করে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাত শনিবার ১ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২ টায় যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেছেন, ধর্ষিতা যুবতী। মামলায় আসামী করেছেন, যশোর বাঘারপাড়া উপজেলার ছোট খুদরা গ্রামের সিদ্দিক মোল্লার ছেলে আব্দুল মান্নান ও আব্দুল মান্নানের পিতা মৃত এরফান মোল্লার ছেলে সিদ্দিক মোল্লা।

মামলায় ধর্ষিতা বলেছেন, সিদ্দিক মোল্লার খাজুরার বাজারে মোল্যা বস্ত্রালয় নামীয় কাপড়ের দোকান আছে। সিদ্দিক মোল্যার দোকানে তার ছেলে ১নং আসামী আব্দুল মান্নান কাপড় বিক্রয় করতে থাকা অবস্থায় আব্দুল মান্নানের সাথে বাদির পরিচয় হয়। পরবর্তীতে আব্দুল মান্নানের সাথে বাদির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং দীর্ঘদিন যাবত বাদির ইচ্ছের বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষন করে আব্দুল মান্নান। এক পর্যায় গত ২০১৭ সালে বাদির গর্ভে সন্তান আসে। বাদি ১২/০৭/১৭ ইং তারিখে একতা হসপিটাল থেকে আল্ট্রাসনোগ্রাফীর মাধ্যমে জানতে পারেন আব্দুল মান্নানকে গর্ভে সন্তানের কথা অবগত করাই বাদি। তখন আব্দুল মান্নান বাহাদুরপুর এক মরিনা মুক্ত ডাক্তারের মাধ্যমে বাদির গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করায় পরবর্তীতে আব্দুল মান্নান কুয়েত কচলে যায়। বাদি আব্দুল মান্নান কুয়েত চলে যাওয়ার বিষয় লোক মুখে অবগত হয়ে বাদি তার মাকে সাথে নিয়ে আব্দুল মান্নানের পিতা সিদ্দিক মোল্লার দোকানে গিয়ে উক্ত ঘটনার বিষয় খুলে বললে সিদ্দিক মোল্লা বাদিকে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্যবলে এবং আব্দুল মান্নান দেশে ফিরে আসলে বাদির সাথে আব্দুল মান্নানের বিয়ে দেওয়ার কথা বলে। বাদি ও তার মাসহ সিদ্দিক মোল্লার কথা মতো বাড়িতে চলে আসে। আব্দুল মান্নান প্রতিনিত বিদেশ থেকে বাদির সাথে প্রতিনিয়ত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে। আব্দুল মান্না গত ২৫ আগষ্ট বিদেশ থেকে দেশে আসে। বাদির মোবাইল নাম্বারে বিয়ের বিষয়ে আলোচনা করে সর্বশেষ গত ২৭ সেপ্টেম্বর বাদি যশোর সরকারি সিটি কলেজে আসলে আব্দুল মান্নান মোবাইল ফোনে বাদির সাথে যোগাযোগ করে। বাদিকে বিয়ে করবে বলে বাদির কলেজে আসে। বাদিকে নড়াইল রোড ভারতীয় ভিসা অফিসের পাশে ড্রেনের উপর দিয়ে মৃত আব্দুল গফফার এর বাাড়ির ভাড়াটিয়া রাসেলের বাসায় নিয়ে যায়। বাদি জিজ্ঞেস করলে আব্দুল মান্নান বাদীকে বলে বন্ধুর বাসায় যাচ্ছি। তার পর কাজী অফিসে যাবো। এ কথা শুনে বাদি চলে আসতে চাইয়ে আব্দুুল মান্নান বাদিকে বলে যে তার এক বন্ধুর বাসা হতে ঘুরে এসে কাজী অফিসে বিকাল বেলায় তার সাথে বাদির বিয়ে হবে। তখন বাদি আব্দুল মান্নানের কথায় বিশ^াস করে তার বন্ধু রাসেলের বাড়িতে য়ায়। দুপুর দেড়টায় বাদিকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। বাদি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। আব্দুল মান্নান বাদিকে উক্ত বাসা হতে নিয়ে আসার সময় কথা কাটাকাটি হয়। স্থানীয় লোকজন জড়ো হলে আব্দুল মান্নান দ্রুত পালিয়ে যায়।