যশোর ডিবি পুলিশ ২৭ লাখ টাকার টাওয়ার পার্টসের চোরাই নাট বল্টুসহ ৫ জনকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলো পাবনা জেলার ইশ্বরর্দি উপজেলার চর মীরকামারি মনির মোল্লার ছেলে আসাদুল আলম (৩৮) যশোরের শার্শা উপজেলার নাবারণ কাজির বেড় গ্রামের মৃত আলম শেখের ছেলে আল আমিন শেখ (৩০) নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার রাজাপুর উপজেলার আব্দুল করিম খানের ছেলে হুমায়ন খান (৩৭) পাবনা জেলার সদর উপজেলার চর ঘোষপুর গ্রামের মোহম্মদ বিশ্বাসের ছেলে টুলা বিশ্বাস (৩৭) ও একই গ্রামের শের আলীর ছেলে শফিক (৪০)। এঘটনায় বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা হয়েছে। মামলার করেন বেনাপোলের সিএন্ড এফ এজেন্ট ও ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ি রবিউল ইসলাম রবি।
ডিবি পুলিশের এস আই মফিজুল জানান, ২১ সেপ্টেম্বর রাতে বেনাপোল বন্দরের টিটি ওয়ান থেকে আমদানিকৃত টাওয়ার পার্টস ও নাটবোল্টের মধ্যে এক নং আসামি ট্রাক চালক আসাদুলের ট্রাকে ৫১ টন ২৭০ কেজি ও ২ নং আসামি ট্রাক চালক আল আমিন শেখের ট্রাকে ৪৪ টন ২২৫ কেজি টাওয়ার পার্টস নাটবোল্ট নিয়ে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি ধানকুন্ডি চান্দাইকোনা, শেরপুর বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ট্রাক দুটি ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে বগুড়া পৌছায়। আন লোড করার সময় ১ নং ট্রাকে ১৪শ ৯৫ কেজি ও ২ নং ট্রাকে ৪শ ৭০ কেজি যার আনুমানিক মূল্য ২৭ লাখ টাকার মালামাল কম পাওয়া যায়। বিষযটি বাদিকে বগুড়া থেকে জানলে ট্রাক চালকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে বাদি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন আসামিরা বগুড়া যাওয়ার পথে নাটোর জেলার অজ্ঞাত স্থানে অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছে১৪শ ৯৫ কেজি ও৪শ ৭০ কেজি মালামাল বিক্রি করে। মামলা তদন্ত কালে ২ নং আসামি আল আমিনকে ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে নাবারণ সাতক্ষীরা মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয়। আল আমিন ঘটনা স্বীকার করে ও আসামি আসাদুলের অবস্থান জানায়। ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে আসাদুলকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে নাটবল্টু বিক্রির ৩৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসাদুল জানায় প্রতারনাকৃত চোরাই মালামাল সে আসামি হুময়নের কাছে বিক্রি করেছে। ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে বড়াইগ্রাম উপজেলার রাজাপুর বাজার থেকে হুমায়নকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত হুময়নের স্বীকারোক্তিতে টুলা বিশ্বাসকে ওই দিনই টুলা বিশ্বাসকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। টুলা বিশ্বাসের স্বীকারোক্তিতে আসামি শফিকে তার মালিকানাধীন শফিক আয়রণ স্টোর থেকে গ্রেফতার ও ১৬৭ কেজি নাটবল্টু বিক্রির ৩২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। একই সাথে ট্রাক দুটি জব্দ করা হয়।