যশোরে বাবা ও চাচার বিরুদ্ধে মেয়ের মামলা

mamla rai

যশোর শহরতলীর শেখহাটিতে পথ রোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে জখম, শ্লীলতাহানি ও চুরির অভিযোগে বাবা, চাচাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে নিজের মেয়ে কোতয়ালি থানায় মামলা করেছে। ছোট শেখহাটি গ্রামের নুরুজ্জামানের মেয়ে সাবরিনা জামান তিসা (২১) সোমবার মামলা করেন। মামলায় বাবা নুরুজ্জামান (৪৮) চাচা আবুল কালাম আজাদ (৬০) ও সৎ মা ফাতেমা খাতুন (২৪) আসামি করা হয়।

মামলায় সাবরিনা জামান তিসা বলেছে, ১ নং আসামি আমার পিতা নুরুজ্জামান। ২ নং আসামি আবুল কালাম আজাদ আমার চাচা। আমা বাবা ৩ নং আসামি ফাতেমা খাতুনকে বিয়ে করে সেখানে অবস্থান করে। মাঝে মধ্যে বাড়ি এসে আমার মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহারসহ মারপিট করে। আমার বাবা নুরুজ্জামান ২য় বিয়ে করে আমাদের কোন খোঁজ খবর নেয় না। এমনকি ভরন পোষন ও দেয় না। এ ছাড়াও আমাদের বাড়ি তেকে বিভিন্ন জিনিস পত্র নিয়ে ২য় স্ত্রীকে দিয়ে আসে। ৩/৪ মাস আগে ১ নং আসামি আমার বাবা নুরুজ্জামান আমার মাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বাবার মারপিটের কারণে আমার মা দীর্ঘদিন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো। ২১ সেপ্টেম্বর আমার খালার বাড়ি জামরুলতলা বেড়াতে যায়।

এই সুযোগে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে আমাদের বাড়ি এসে ঘরের তালা ভেঙ্গে আলমারি থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা, ১ ভরি ওজনের সোনার চেন, ৪ আনা ওজনের আংটি, ৫ আনা ওজনের এক জোড়া কানের দুলসহ মোট ৩ লাভ ৯০ হজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সালিশ মীমাংসা করলে আসামিরা এ বিষয়ে কোন কর্ণপাত করে না। ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় আমি খালার বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলে আসামিরা আমাদের বাড়ির উঠানে এসে আমার পথরোধ করে গালিগালাজ করে।

এক পর্যায়ে ৩ নং আসামি ফাতেমা কাতুনের হুকুমে ১ নং আসামি আমার বাবা নুরুজ্জামান লোহার রড দিয়ে আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় আঘাত করে। আঘাত লক্ষ্যভ্রস্ট হয়ে আমার শরীরের অন্য জায়গায় লাগলে আমি জখম হই। ২ নং আসামি আমার চাচা আবুল কালাম আজাদ আমার পরনের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। আমাকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। আমার বুকের উপর উঠে আমাকে লাথি মারতে থাকে। আমি বাঁচার জন্য চিৎকার দিলে স্তানীয়রা এগিয়ে আসলে আসামিরা আমাকে ও আমার মাকে খুন ঝকমের হুমকি দিয়ে মোটর সাইকেল আমার শরীরের উপর দিয়ে চালিয়ে চলে যায়।