যশোর চাঁচড়ায় রনি হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা, আসামি-১২

mamla rai

যশোর শহরতলীর চাচড়ায় রনি হত্যাকান্ডর ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। নিহত রনির মা ছায়রা বেগম (৫৭) সোমবার রাতে মামলঅ করেন। মামলায ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৭/৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলঅর আসামিরা হচ্ছে সদরের ভাতুড়িয়া নারায়নপুর গ্রামের নুর ইসলাম ওরফে নুরু মহুরির ছেলে ইসরাজুল (২৫) চাঁচড়া বর্মণ পাড়ার পুলিন বর্মনের ছেলে রকি (২৪) একই এলাকার বিমলের ছেলে রবি (২৫) মনি বর্মনের ছেলে মানিক (২৫) ভাতুড়িয়া নারায়ণ পুরের মৃত ওসমানের ছেলে নুরু মহুরি (৫০) একই গ্রামের রওশনের ছেলে গাফ্ফার হোসেন (৩৫) ইসরাইল গাজির ছেলে অহিদুজ্জামান লিটন (৪২) অজেদ ড্রাইভারের ছেলে আলআমিন (২৮) কুদ্দুসের ছেলে শান্ত (২৮) মৃত হাসেম আলীর ছেলে রফিকুল (৩৫) হামিদের ছেলে সজল (২২) নুরু মহুরির জামাই এনামুল (৩৯)। এদিকে রনি হত্যার প্রতিবাদে গ্রামবাসি নুরু মহুরির ফাঁসির দাবিতে শহরে মিছিল করে।

মামলায় ছায়রা বেগম বলেন, আমার ছেলে রনি চাঁচড়া মাছের খামারে কাজ করতো। ৩ মাস আগে ভাতুড়িয়া কলেজে আসামি ইসরাজুলের সাথে রনির কাথা কাটাকাটি হয়। ওই সময় ইসরাজুল হত্যার হুমকি দেয় রনিকে। এরপর থেকে আসামিরা রনিকে মারপিট খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসছিলো। আসামিরা প্রায় আমার ছেলে রনির গতি বিধি লক্ষ্য করে হত্যার জন্য সুযোগ খুজতে থাকে। আসামি নুরু মহুরির সাথে আমার দেখা হলে আমাকে হুমকি দেয় তোর ছেলে সরকারি জায়গায় থেকে আমার ছেলের সাথে বিরোধ সৃষ্টি করে। তোর ছেলেকে এর ফল ভোগ করতে হবে। ১ অক্টোবর সন্ধ্যা আনুমানিক ৬ টার দিকে আসামি রকি ও রবি আমার ছেলে রনিকে বাড়ি থেকে নাম্বার বিহীন মোটর সাইকেলে এসে কথা আছে বলে ডেকে নিয়ে যায়।

এরপর গভীর রাত হওয়ার পরেও আমার ছেলে রনি বাড়ি না ফেরায় আমিসহ বাড়ির লোকজন সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুজি করি। এক পর্যায়ে ২ অক্টোবর রাত ৮ টায় লোক মারফত জানতে পারি চাঁচড়া বর্মণপাড়া শ্মশানের পাশে মুক্তেশ্বরী নদীতে আমার ছেলে রনির মৃত দেহ পাওয়া গেছে। আমরা সেখানে হাজির হয়ে রনির লাশ সনাক্ত করি। রনির সারা শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নুরু মহুরির হুকুমে আসামিরা আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে ঘটনা গোপন করার জন্য নদীতে ফেলে দেয়। এদিকে সোমবার জেনারেল হাসপাতালে রনির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে চাঁচড়া নিয়ে যাওয়ার পথে হত্যার প্রতিবাদে গ্রামবাসি প্রেসক্লাব যশোরের সামেন বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিল থেকে তারা হত্যার সাথে জড়িত নুরু মহুরির ফাঁসির দাবি জানায়। রনি হত্যারকান্ডের ঘটনায় পুলিশ এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি। চাঁচাড়া ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর আকিকুল ইসলাম জানান, রনির লাশ উদ্ধারের দিন রোববার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রকিকে হেফাজতে নেয়া হয়।