বিদুৎ সরবরাহের জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের ঘটনাকে ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মঙ্গলবার রাতেই আওয়ামী লীগের উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সারাদেশে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের জন্য সরকারের দায়িত্বহীনতাই দায়ী।
বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে, রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের কারণে মঙ্গলবার দুপুরে একযোগে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের বিস্তৃত এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। প্রায় ৮ ঘণ্টা পরে রাতে ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।
জাতীয় গ্রিড এমন বিপর্যয়ের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, অপরিকল্পিত প্রকল্প নেয়ার একটা লক্ষ্যই আছে- দুর্নীতি করা। সেই দুর্নীতির মাধ্যমে উন্নয়নের কথা বলে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলা। সরকার যে চিৎকার চেঁচোমিচি করছে, আমরা বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে গেছি। প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি উৎপাদন হচ্ছে- এসবই বাগাড়ম্বর ছাড়া আর কিছু নয়।
তিনি বলেন, গতকালকের (মঙ্গলবার) ব্যাপারটা সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক। হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ চলে গেছে প্রায় সারাদেশেই আট ঘণ্টা। টোটাল ব্ল্যাক আউট হয়ে গেছে। এ থেকে যা বোঝা যায়, তা হচ্ছে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে বহু প্রজেক্ট করেছে, বহু টাকা-পয়সা বানিয়েছে। তারপর জাতিকে এ রকম একটা বড় রকমের দুর্যোগের মধ্যে ফেলেছে।
দেশে এ বিদ্যুৎ বিপর্যয়কে সরকার দুর্ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করছে- এর ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সরকারের ব্যর্থতা। তিনি বর্তমান সরকারকে দেশের জন্য ‘বোঝা’ অভিহিত করে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্গীদের মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগ লুট করছে, অর্থ পাচার করছে। এ থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ- দে মাস্ট গো (তাদেরকে অবশ্যই চলে যেতে হবে)। আওয়ামী ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনস্রোত এখন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।
