যশোরে ৩ অস্ত্র ব্যবসায়ি আটকের ঘটনায় মামলা, ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন

যশোর শহরের আর এন রোডের রাঙামাটি গ্যারেজের সামনে নিউ বিসমিল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ থেকে তিন অস্ত্র ব্যবসায়ি আটক ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। আটক অস্ত্র ব্যবসায়ি তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। ডিবি পুলিশের এস আই শাহিনুর রহমান শুক্রবার মামলা করেন। মামলার আটককৃত আসামিরা হচ্ছে শহরের বেজপাড়া আকবরের মোড়ের মৃত এলাহি বক্স ও নুরজাহান বেগমের ছেলে আব্দুল আজিজ (৪৪) সদর উপজেলার বাহাদুরপুর মধ্যপাড়া গ্রামের আহম্মদ আলী ও সুফিয়া বেগমের ছেলে কুদ্দুস আলী (৩০) ও বাহাদুরপুর পার্কের মোড়ের ফারুক হোসেন ও নীলা বেগমের ছেলে সুমন হোসেন (২৫)।
মামলায় এস আই শাহিন বলেছেন, বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) রাতে মনিহার মোড়ে ডিউটি করাকালীন গোপনে সংবাদ পায় শহরের বারান্দিপাড়ার রাঙামাটি গ্যারেজের পাশে নিউ বিসমিল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপের মধ্যে কয়েকজন অস্ত্র ব্যবসায়ি আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য অবৈধ আগ্নেয়অস্ত্র তৈরি করছে। এ খবরের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। ডিবি পুলিশ অস্ত্র তৈরি অবস্থায় দেখে তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য এগিয়ে গেলে তারা পালানোর চেষ্টা করে। সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় আব্দুল আজিজ, কুদ্দুস আলী ও সুমন হোসেনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের স্বীকারোক্তিতে ওয়ার্কসপের ভিতর থেকে ২ টি দেশি তৈরি ওয়ান সুটার গান যাতে ট্রিগার ও ফায়ার পিন সংযুক্ত হাতলসহ দৈঘ্য ৮ ইঞ্জি ২ সুতা, ৩ টি ৭.৬৫ পিস্তলের রিকয়েলিং স্প্রিং ও ব্যারেল সংযুক্ত স্লাইডার যার প্রত্যেকটিতে খোদাই করে মেড ইন ইউপি ৭.৬৫ লেখা আছে। ৩টি ৭.৬৫ বডি ও ৩টি হাতল। ৮টি ৭.৬৫ পিস্তলের অসম্পূর্ন ম্যাগজিন। ১টি গ্রান্ডিং মেশিন। পিস্তলের গ্রিপ তৈরির ফাইবার ৭টি। পিস্তলের সেপ্টি লক ১টি, ৪টি পিস্তলের তৈরি চ্যানেল। ৭টি স্প্রিং। ৩টি হেমার। ২টি ট্রিগার। ৯টি পেন্সিল পলিশ। ২৫টি অক্ষর কোদাই করা পাঞ্চ। ৭টি বড় স্প্রিং। ৫ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ও ১টি ড্রিল মেশিন উদ্ধার করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এস আই সোলায়মান আক্কাস জানান, আটককৃত ৩ অস্ত্র ব্যবসায়িকে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের কাছ থেকে অস্ত্র বিক্রির তথ্য জানা যাবে।