যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

just logo

রোববার রাতে যশোরের যবিপ্রবিতে শহীদ মসিয়ুর রহমান হলে ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সালের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। উক্ত ঘটনা কাভার করার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সদস্য শিহাব উদ্দিন সরকারকে মারধর করে তার মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়।
এ সময় শিহাবকে মারধর করে ছাত্রলীগকর্মী পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান রহমান রাব্বি, রসায়ন বিভাগের ৩য় বর্ষের জুবায়ের, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রিড়া বিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের বাহার, একই বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী নুর আলম, ৪র্থ বর্ষের সৌমিক, স্নাতকোত্তরের উত্তম, ফাইনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের বেলাল হোসেন, অ্যাকাউন্ট এন্ড ইনফরমেশন বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী আকিব ইবনে সাইদসহ অর্ধশতাধিক ছাত্রলীগ কর্মী।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সালের অনুসারী সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম হৃদয় ও ছাত্রলীগ কর্মী জিসান আহমেদ অস্ত্র দিয়ে সভাপতি সোহেল রানার অনুসারীদের ধাওয়া করে। এরপর কদমতলা থেকে তানভীর ফয়সালের অনুসরীরা শহীদ মসিয়ুর রহমান হলে এসে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সভাপতি সোহলে রানার নেতৃত্ব তার অনুসারীরা হলে প্রবেশ করলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন,ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের কর্মীদের অর্ন্তকোন্দলে সংগঠিত ঘটনা এবং দায়িত্বরত সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। ক্যাম্পাসে কোনো অস্ত্রের রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। খুব দ্রুতই কমিটি গঠন করা হবে এবং দোষীদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর হামলায় আহত হওয়া সাংবাদিককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বপ্রকার সহায়তা করা হবে।