ডেঙ্গি বাড়ায় শয্যা সংকটের শঙ্কা স্বাস্থ্য সচিবের

দ্রুত ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে ঢাকার কোনো হাসপাতালেই বিছানা ফাঁকা নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

তিনি বলেন, প্রতিদিনই নতুন রোগী আসছে। হাসপাতালগুলোতে সিট না থাকলেও রোগীরা আসছে। আমরা তো তাদের ফেরত পাঠাতে পারি না। মেঝেতে হলেও জায়গা করে দিচ্ছি, চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। হাসপাতালগুলোতে আলাদা ডেঙ্গি ইউনিট চালু করতে হবে। পর্যাপ্ত ফ্লুইড (তরল খাদ্য) সরবরাহ করতে হবে। প্রতিটি হাসপাতালে মশারি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। রোগী যদি মশারি না নিয়ে আসে, তাহলে হাসপাতাল থেকে ব্যবস্থা করে দিতে হবে।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ডেঙ্গি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের বিষয় অবহিতকরণ ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৪ জন। চলতি বছর এপর্যন্ত ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৬ জনে।

সোমবার সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের ডেঙ্গি বিষয়ক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগের দিন রোববার ৮৫৫ ডেঙ্গি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।

মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য সচিব বলেন, সিটি করপোরেশনগুলোকে বলেছি, দ্রুত হটস্পটগুলোতে অভিযানের ব্যবস্থা করুন। শুধু অভিযান করলেই হবে না, এত সাধারণ মানুষসহ সবাইকে অংশ নিতে হবে। ময়লাগুলো নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন। আজকের ময়লা যেন আগামীকালের অপেক্ষায় না থাকে। ময়লা ম্যানেজমেন্টে অনেক ঝামেলা আছে, তারপরও এটাকে আপনারা গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন।

সচিব বলেন, সাধারণ মানুষ যদি সচেতন না হয় তাহলে অভিযান পরিচালনা করে কিছু করতে পারবো না। মশারির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ডাবের পানি ডেঙ্গুতে খুবই জরুরি, কিন্তু ডাবের খোসা আমাদের জন্য সর্বনাশের কারণ।

অবহিতকরণ ও মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য অধিপ্তরের অতিরিক্ত মহারিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, এডিস মশার হটস্পট নির্ধারণ করে এর উৎসস্থল নষ্ট করা গেলে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কমবে। তবে একটি হটস্পট ধ্বংষ করা গেলেও আরেকটি তৈরি হয়। তাই এভাবে না করে সামগ্রিক ভাবে কাজ করতে হবে। এছাড়া বাসা বাড়ি, নির্মাণাধীন ভবনেও যাতে পানি জমে না থাকে এ দায়িত্ব নিজেদের নিতে হবে।