৭৭ জনের সঙ্গে কথা বলল ইসির তদন্ত কমিটি

গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) উপনির্বাচনে ভোট বন্ধের ঘটনা তদন্তে ইসির গঠিত কমিটির শুনানির প্রথম দিনে ১১ প্রিসাইডিং অফিসার ও ৬৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার অংশ নিয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত গাইবান্ধা সার্কিট হাউসে শুনানি চলে।

তদন্ত কমিটির সামনে প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসাররা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। এছাড়াও ৫৫ জন পোলিং এজেন্ট (প্রত্যেক প্রার্থীর পক্ষ থেকে) শুনানিতে অংশ নেবেন।

এদিকে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তদন্ত কমিটির সদস্যরা প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার স্থানীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন। এরপর গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবে কমিটি। এর মধ্যদিয়ে প্রথম দিনের শুনানি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

আগামীকাল বুধবার সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাকক্ষে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ৪০ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ২৭৮ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ২০০ জন পোলিং এজেন্ট (প্রত্যেক প্রার্থীর পক্ষে), সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৫২২ জনের সঙ্গে কথা বলবেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোট হয়। কিন্তু এক পর্যায়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এলে সত্যতা পেয়ে ভোট গ্রহণ বন্ধ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। নির্বাচন ভবনে বসে সিসি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ করে তিনি এ নির্বাচন স্থগিত করেন। পরে উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণে ‘বুথে ডাকাত’ ও ভোট বাতিলের ঘটনাটি খতিয়ে দেখা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করে ইসি।