যশোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রনের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিমাসে উৎকোচ আদায়ের অভিযোগ

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর কার্যালয়ের ক সার্কেলে এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিমাসে বিভিন্ন মাদক স্পট থেকে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একাধিক সূত্র জানিয়েছেন,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর যশোর জেলা কার্যালয়ের ক সার্কেলে দায়িত্ব পালন করলেও তিনি প্রতিদিন খুলনা থেকে ট্রেন যোগে এসে দায়িত্ব পালন করেন। তবে তিনি খুলনা থেকে অবাধে অর্থ উপার্জন করার খবর কারোর অজানা নয়। আর যশোর শহরের বিভিন্ন এলাকা ও কোতয়ালি মডেল থানা এলাকায় যে মাদক উদ্ধার দেখাচ্ছে সেগুলি দায়িত্ব পালনের একটি পার্ট ছাড়া কিছুই নয়।

বিভিন্ন দায়িত্ব সূত্রে জানাগেছে,যশোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের ক সার্কেলে বর্তমানে পরিদর্শক লায়েক উজ জামান,উপ-পরিদর্শক হিসেবে এস,এম,শাহীন পারভেজ,বিভাগীয় স্টাফ সহকারী উপ-পরিদর্শক বিপ্লব চক্রবর্তী,সহকারী উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান, সিপাই আশিকুজ্জামান সজল, সিপাই নাজমুছ সাকিব,সিপাই আছিয়া খাতুন ও ওয়ারলেস অপারেটর আতাউর রহমান দায়িত্ব পালন করছেন।

এর মধ্যে এস এম শাহীন পারভেজ ওরফে খোকনের বিরুদ্ধে বেরিয়ে এসেছে বিস্তর অভিযোগ। উপ-পরিদর্শক এস এম শাহীন পারভেজ মূলত খুলনার বাসিন্দা। অথচ তার কর্মস্থল যশোর হলেও তিনি প্রতিদিন সকালে ট্রেনযোগে যশোর আসে আর সন্ধ্যায় ফিরে যান তার বর্তমান খুলনার বাড়িতে। যশোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ে ক সার্কেলে দায়িত্ব পালনকালে তিনি বিভিন্ন মাদক বিক্রেতাদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা উপার্জন করে। তার বিরুদ্ধে অভিযানে মাদক বিক্রেতার মাদক ও নগদ টাকা জব্দ করলেও বেশ পরিমানের টাকা আত্মসাত করার খবর উঠে। সূত্রগুলো জানিয়েছেন, উপ-পরিদর্শক এস,এম শাহীন পারভেজ খুলনা সিএন্ড বি কোয়াটারে প্রায় ৪০ বছর এর বেশী সময় ধরে থাকেন।

তিনি সিপাই হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করে প্রায় ২০ বছরের বেশী সময় খুলনায় মাদকদ্রব্য বিভাগে চাকুরী করেছেন। আর র্দীঘ সময়ে খুলনায় চাকুরী করার সুবাদে তিনি মাদকের ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত এবং মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে খুব আস্থাভাজন। সূত্রগুলো বলেছেন, এস এম শাহীন পারভেজ যশোরে চাকুরী করলেও সে খুলনার বিভিন্ন মাদক স্পট থেকে টাকা তোলে। সেখানকার মাদক বিক্রেতারা ভয় পান যে তিনি যদি আবার খুলনায় যোগদান করেন। যশোর থেকে সন্ধ্যায় ট্রেন যোগে খুলনায় তিনি পৌছে লাল রংয়ের মোটর সাইকেলে যোগে তাকে বিভিন্ন মাদকের স্পটে অনেকে দেখেছেন।

এস এম শাহীন পারভেজ যশোরে দায়িত্ব পালন করলেও খুলনার মাদক স্পটের ব্যবসায়ীরা তাকে রীতিমতো উৎকোচ দেন। তিনি যশোর থেকে বদলী হয়ে যাওয়ার জন্য তদ্বীর চালাচ্ছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো দাবি করেছেন। এ ব্যাপারে তার কাছে সাংবাদিকরা বিভিন্ন সময়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন।