নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, বর্তমান সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে জারের মতো ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সংবিধানে ৭ ধারা থাকলে এই সরকারের বিরুদ্ধে কোথাও কিছু বলা যাবে না। মানুষের অধিকার থাকবে না। সুতরাং মানুষকে সংবিধান সম্পর্কে সহজ করে বলতে হবে, যাতে মানুষ বিশ্বাস করে এটা পরিবর্তন করা দরকার।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন আয়োজিত ‘সংস্কার কেন প্রয়োজন এবং কীভাবে সম্ভব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মান্না বলেন, মানুষ যেভাবে জনসমাবেশগুলোতে অংশ নিচ্ছে তা তো অভ্যুত্থানের মতোই। সবকিছু বন্ধ তারপরও মানুষ যাচ্ছে। খেয়াল করবেন এরা সবাই বিএনপি সমর্থক নয়। এখানে সাধারণ মানুষ আছেন যাঁরা মনে করেন জিনিসের দাম কমা দরকার। মানুষ ক্ষমতাসীনদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে যাঁকে পায় তাঁকে আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, শাসক দল সংবিধানকে কাগজের টুকরো ছাড়া কিছু ভাবে না। সংবিধান নির্বাহী বিভাগের ওপর নির্ভর করছে। নির্বাহী বিভাগ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, সংবিধান প্রণয়নের সময় একজন ব্যক্তিকে ক্ষমতা দেওয়ার চিন্তা মাথায় ছিল। ফলে সংবিধান ক্ষমতাকে কেন্দ্রীভূত করেছে। এখন সেই কর্তৃত্ববাদী সরকার চলছে। তারা এখন ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে চালিয়ে দিচ্ছে।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘৯০-এর পরবর্তী সময়ে দেশে পরিবারকেন্দ্রিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারা তরুণ প্রজন্মকে দিয়ে অপরাজনীতি করাচ্ছে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) কার্যকরী সভাপতি শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, রাষ্ট্রের বর্তমান সংকটের প্রধান কারণ এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা।