ভারতের সঙ্গে তাইওয়ানের ৩ চুক্তি স্বাক্ষর

তাইওয়ানের বাণিজ্যিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে ভারতের ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদন এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তিনটি চুক্তিপত্র সই হয়েছে।

ভারতের বিভিন্ন বণিকসভা ও তাইওয়ানের ‘চাইনিজ ন্যাশনাল ফেডারেশন অব ইন্ডাস্ট্রিজের যৌথ উদ্যোগে ‘ইন্ডিয়া-তাইওয়ান ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোলাবরেশন সামিট’ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। খবর এনআই ও তাইওয়ান ফোকাসের।

চুক্তিগুলোর মধ্যে একটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে তাইওয়ানের মেমরি চিপমেকার অ্যাডাটা টেকনোলজি এবং ইলেকট্রনিক ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (ইএলসিআইএনএ) এবং অন্যটি তাইওয়ানের মূল্যবান ধাতু পুনর্ব্যবহারকারী বিশেষজ্ঞ ইউউইন ন্যানোটেক এবং ভারতের শ্রীকার্য ইন্ডাস্ট্রিজ।

তৃতীয়টিতে তাইওয়ান এনভায়রনমেন্টাল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন, তাইওয়ানের চায়না প্রোডাক্টিভিটি সেন্টার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ওয়াটার অ্যাফেয়ার্স অর্গানাইজেশন এবং ভারতের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লিন ওয়াটার অ্যান্ড স্টেডি-ট্যাপস কনসালটিং।

খবরে জানা গেছে, এতদিন চীনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ার আশঙ্কাই তাইওয়ানের সঙ্গে তেমন কোনো চুক্তিতে যায়নি নয়াদিল্লি। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্যও সেভাবে এগোয়নি। কিন্তু দুই বছরের বেশি সময় ধরে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চীনা সেনার উপস্থিতি ক্রমশই অসহিষ্ণু করে তুলেছে মোদি সরকারকে।

সেই পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সফরে এসে তাইওয়ানের উপ-অর্থমন্ত্রী চেরন চই চেন নয়াদিল্লিতে ভারত-তাইওয়ান মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করার বিষয়টি নিয়ে আশা প্রকাশ করেন।

তাইওয়ানের উপ-অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে পণ্য উৎপাদনের পক্ষে ভারত সবচেয়ে ভালো জায়গা হতে পারে। ভারতের মেক ইন ইন্ডিয়া নীতিতে আমাদের সরকারের সমর্থন রয়েছে। আমাদের সংস্থাগুলো ভারতীয় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘাতের জেরে তাইওয়ান নীতি নিয়ে সক্রিয় হয়েছিল নয়াদিল্লি। চীনকে কড়া বার্তা দেওয়াই ছিল এই নীতির উদ্দেশ্য।