যশোর সরকারি মহিলা কলেজের দুই কর্মচারীর হাতে আলাউদ্দিনের চেরাগ

যশোর সরকারি মহিলা কলেজের দুই কর্মচারী আলাউদ্দিনের চেরাগ পেয়েছেন। এই চেরাগের সাহায্যে প্রতিমাসে টালবাহানা করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে চলেছেন। বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষের জানা থাকলেও তিনি নিরব ভূমিকা পালন করে চলেছেন। এতে করে কলেজের অন্য কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, যশোর সরকারি মহিলা কলেজে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী রয়েছেন পাঁচজন। এরমধ্যে দুইজন অস্থায়ী কর্মচারী রয়েছেন।

কিন্তু কলেজের প্রধান সহকারী হাবিবুর রহমান ও ইলেকট্রিশিয়ান কামরুজ্জামান তাদের বেতন ছাড়াও ৬ হাজার টাকা উত্তোলন করে চলেছেন। কলেজের তহবিল থেকে তারা এই টাকা উত্তোলন করে চলেছেন। বিগত অধ্যক্ষ ড. হাসান সরোয়াদ্দির বিষয়টি নজরে এলে তিনি এই টাকা বন্ধ করে দেন। কিন্তু বর্তমান অধ্যক্ষ আসার পর থেকে পূর্বের ন্যায় আবারও টাকা উত্তোলন করে চলেছেন। আর এভাবে সরকারি অর্থ লোপাট করার বিষয়টি সাধারণ কর্মচারীরা জানতে পেরে বর্তমান অধ্যক্ষকে জানালেও তিনি নিরব ভূমিকা পালন করে চলেছেন। আর এতে করে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ কর্মচারীদের মধ্যে।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে তারা বলছেন, সরকারি অর্থ কিম্বা সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানের অর্থ নিতে হলে তার কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে। যে কেউ ইচ্ছা করলেই সরকারি অর্থ গ্রহণ করতে পারে না। তার জন্য যথাযথ নিয়ম মেনে অর্থ নিতে হয়। কিন্তু মহিলা কলেজের দুই কর্মচারী কোন নিয়ম না মেনেই প্রতিমাসে অর্থ নিচ্ছেন। সরকারি টাকা
তারা বলছেন, সরকারি অর্থ বেতন ছাড়া তারাও যদি অতিরিক্ত পায় তাহলে অন্য কর্মচারীরা কেন পাবে না ? তৃতীয় শ্রেণির সবাই সরকারি কর্মচারী। সরকারের দৃষ্টিতে সবাই সমান।

যদি অতিরিক্ত দায়িত্ব বাবদ নিয়ে থাকে তাহলে অন্যরাও তো অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে থাকে। তারা কেন অতিরিক্ত টাকা পাবে না কেন ?

এদিকে সূত্রটি আরো জানায়, সরকারি তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী থাকা সত্বেও বিভিন্ন পরীক্ষার কমিটিতে চুক্তিভিক্তিক কর্মচারীদের অন্তভূক্ত করা হয়। এনিয়েও স্থায়ী কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।
বেতন ছাড়া অতিরিক্ত সরকারি অর্থ গ্রহণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ অমল কুমার বিশ্বাস দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি আগামীকাল কলেজে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে বলতে পারবো।